সংক্ষিপ্ত

উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় অব্যাহত। দেখাই গেল না রাজ্যের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টিকে। তবে বিজেপির হতাশার কারণ বরাণসী।

উত্তর প্রদেশের বিধান পরিষদের নির্বাচনেও  বিধানসভা নির্বাচনের রেশ বজায় রাখল বিজেপি। বিরোধীদের পুরোপুরি ধরাসায়ী করে দিল গেরুয়া শিবির। বিধান পরিষদের নির্বাচনে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টিকে। বিজেপির এই বিশাল জয়ের পরেও একটা প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে হেরে গেছে বিজেপি। 

রাজ্যের বিধান পরিষদের ১০০টি আসন রয়েছে। তারমধ্যে ৩৬টি আসন ফাঁকা ছিল। সেগুলিতেই নির্বাচন হয়েছে। ৩৬টির মধ্যে ৩৩টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তিনটি আসন পেয়েছে নির্দল প্রার্থীরা। গত এক দশকের মধ্যে এই প্রথম বিজেপি রাজ্য বিধানসভার দুইকক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে। ৯টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আগেই জিতে গিয়েছিল বিজেপি। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ব্রিজেশ সিং-এর স্ত্রী অন্নপূর্ণা সিং বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। এই কেন্দ্রীয় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী। এই কেন্দ্রে ২০১৬ সালে ব্রিজেশ সিং নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেছিল। সেবার বিজেপি তাঁকে ওয়াকওভার দিয়েছিল। কিন্তু এবার এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপি। এই লড়াই প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। 

যাইহোক বারাণসীতে হারলেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে টনালো যাবে না যোগী আদিত্যনাথকে। দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনিই থাকবেন। 

তবে বিধানপরিষদের রেজাল্টে রীতিমত হতাশ অখিশেল যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি। বিধানসভা নির্বাচনে ১০০র বেশি  আসন পেয়ে রাজ্যের বিরোধী দল তারা। কিন্তু বিধান পরিষদের নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারেনি সমাজবাদী পার্টি। যদিও তালিকায় নাম ছিল চিকিৎসক কাফিল খানের। ২০১৭ সালে গোরক্ষপুর হাতপাতালে অক্সিজেনকাণ্ডে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পুরেছিল যোগী সরকার। 

বিধান পরিষদের নির্বাচন অনেকটা রাজ্যসভার নির্বাচনের মত। এখানে পরোক্ষ ভোটদানের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় প্রার্থীদের। ভোটাররা হলে, সাংসদ, বিধায়ক, শহুরে কর্পোরেটর, প্রধান, ও গ্রামস্তরের প্রতিনিধিরা। বিধান পরিষদের নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভোট দিয়েছেন গোরক্ষপুর এলাকা থেকে। জয়ের পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, এই জয় নিশ্চিত করেছে রাজ্যের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন আর জাতীয়তাবাদের ওপর আস্থা রেখেছে। 

'মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন', নদিয়া ধর্ষণকাণ্ডে মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নির্ভয়ার মা

চিনুকের সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক, ননস্টপ হেলিকপ্টার যাত্রার রেকর্ড

একটু রোদ আর এই চারটে খাবার, ক্যালসিয়ামের সঙ্গে ভিটামিন ডি - দুটোর ঘাটতি একসঙ্গে মেটাবে