সংক্ষিপ্ত

স্বামীর দাবির সঙ্গে সঙ্গে চা দিতে না পারায় বাড়ির ভেতর থেকে একটি তরোয়ালের মতো বিশাল ধারালো অস্ত্র বের করে নিয়ে আসে ধর্মবীর। পুলিশ এসে দেখতে পায় যে, ধর্মবীর নিজের স্ত্রীয়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছে।

সামান্য সাংসারিক ঝামেলা পরিণত হল ভয়ঙ্কর পরিণামে। স্ত্রীয়ের কাছে চা চেয়েছিলেন স্বামী। সেই চা তৎক্ষণাৎ দিতে না পারায় তার খেসারৎ দিতে হল প্রাণ দিয়ে! গৃহহিংসার চরমতম নিদর্শন দেখল উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)।

-

এই রাজ্যের গাজিয়াবাদে ৫৫ বছর বয়সি ধর্মবীর পেশায় একজন দিনমজুর। তার স্ত্রী ছিলেন ৫০ বছর বয়সি সুন্দরী। স্বামী স্ত্রীয়ের মধ্যে চা দেওয়া নীয়ে বিবাদ বাধে। সকাল ৬টার সময় চা তৈরি করা শুরু করেছিলেন স্ত্রী। ধর্মবীর তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে চা দাবি করেন। সুন্দরী তাকে জানান যে, তাঁর চা দিতে আরও ১০ মিনিট সময় লাগবে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে, সুন্দরী রাগের বশে সমস্ত বাসনকোসন ছুঁড়ে ফেলে দেন। তাঁদের ৪ সন্তান (তিন জন ছেলে ও এক মেয়ে )তখন অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিল। স্বামীর দাবির সঙ্গে সঙ্গে চা দিতে না পারায় বাড়ির ভেতর থেকে একটি তরোয়ালের মতো বিশাল ধারালো অস্ত্র বের করে নিয়ে আসে ধর্মবীর। এরপরেই পেছন থেকে সুন্দরীর ঘাড়ে কোপ দেয় প্রায় ৩ থেকে ৪ বার। একের পর এক ঘাতক কোপে ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায় সুন্দরীর। 

-

মায়ের চিৎকার শুনে চিলেকোঠার রান্নাঘরে ছুটে যায় চার সন্তান। ধর্মবীর তখন তাদের দিকেও তরোয়াল চালায় বলে অভিযোগ। মায়ের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাবার বিরুদ্ধে মোদিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ধর্মবীরের ছেলে। পুলিশ এসে দেখতে পায় যে, ধর্মবীর নিজের স্ত্রীয়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছে। তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যার মামলা করা হয়েছে। অদালত তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।