সংক্ষিপ্ত

শিক্ষিকার মারের ভয়ে স্কুলেই যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ছোট্ট ছাত্রী। তার ভয় দেখে অন্য দুই বোনও আর স্কুলমুখী হচ্ছে না। 

 

অন্য সকল বাচ্চার মতোই নিশ্চিন্তে স্কুলে যেত ৭ বছরের ছোট্ট হাসিখুশি মেয়েটি। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের আলমবাগ এলাকার সুন্দর নগরে নিজের বাবা মা এবং আরও দুই দিদির সাথে থাকত সে, বাড়ির কাছেই একটি বেসরকারি স্কুলে এক সাথেই পড়ত ৩ বোন। কিন্তু, হঠাৎ করেই ছোট্ট মেয়ের মনে প্রবল ভয়ের সঞ্চার। প্রত্যেকদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকা মেয়ে আর স্কুলে যেতে চায় না। স্কুলে যাওয়ার কথা বললেই আতঙ্কে এবং কান্নায় কুঁকড়ে যেতে থাকে ছোট্ট মেয়েটি। কেন এমন ঘটল?

বাবা মা জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন যে, ১১ মে তারিখে তাকে স্কুলের কোনও এক শিক্ষিকা একের পর এক সপাটে থাপ্পড় মেরেছেন! সেই থাপ্পড়ের আঘাত তার মনে এতটাই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে যে, সে কোনও ভাবেই আর স্কুলে যেতে চাইছে না। ঘটনা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে যান ওই ছাত্রীর মা। কিন্তু, ফল হয় উলটো। 

শিশুর বাবা নীরজ সোনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের অভিযোগ তো শোনেনইনি, উলটে শিশুর মা-কে স্কুল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। শিশুর দিদিও ওই একই বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী। সে-ও নিজের বোনের হেনস্থার ঘটনা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাকেও নিজের ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাসে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এই ঘটনার পর আর কোনও উপায় না দেখে কৃষ্ণ নগর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয় ওই শিশুর পরিবার। আইপিসি ৩২৩ এবং ৫০৪-এর অধীনে একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে৷ নির্যাতিতা শিশুর বাবা বলেন, “যখন আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে এফআইআর দায়ের করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম, তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের চাপ দিতে শুরু করে এবং তারপর এফআইআর করাটা দেরি করাতে চেষ্টা করে, যাতে ডাক্তারি পরীক্ষায় আমার মেয়ের শরীরে কোনও ধরণের আঘাত প্রকাশ না পায়। আমার মেয়ে এখন কয়েকদিন ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে এবং স্কুলে যেতে চাইছে না। প্রচণ্ড ভয়ের কারণে আমার অন্য দুই মেয়েও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।”

আরও পড়ুন- 
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে শান্তির বার্তাবাহক নরেন্দ্র মোদী, জাপানের হিরোশিমায় গান্ধীমূর্তির উন্মোচন
মদন মিত্র বনাম এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বন্দ্ব চরমে, ‘অশান্তি বরদাস্ত করব না’ হুঁশিয়ারি হাসপাতালের

নিজের ছেলেকে খুন করে বাইক দুর্ঘটনার গল্প ফাঁদলেন বাবা ও মা, দেওয়ালে ছোট ছোট নতুন রঙের দাগ দেখেই সন্দেহ