সংক্ষিপ্ত

ফিরে দেখা ২০১৭-এর উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে জয় পেয়েছিল বিজেপি।

করোনা (COVID 19) সংক্রমণের আবহেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ( Assembly elections) ভোটের দিন ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ (Uttarakhand Legislative Assembly election), পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবেন। তার আগেই একবার ফিরে দেখা ২০১৭-এর উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে জয় পেয়েছিল বিজেপি (BJP)।

উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand) এবার কংগ্রেসের হারের পেছনে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারাই অনেকখানি ভূমিকা রেখেছিল। নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতা নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এতে নির্বাচনী ফলাফলে (Election Result) বেশ কিছুটা প্রভাব চোখে পড়ে, তবে প্রথমটায় কংগ্রেস এতটা হার আশা করেনি,  এই তিওয়ারিকে দিয়েই উত্তরাখন্ডে জয় তুলে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। তিওয়ারি তিনবার উত্তর প্রদেশ ও একবার উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Uttarakhan CM) হয়েছিলেন।

উত্তরাখন্ড রাজ্যের ৭০টি আসনে লড়াই চলেছিল ২০১৭ সালে, যার মধ্যে বিজেপি ৫১টি আসনে জয় তুলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। এই জয় পেতে কমপক্ষে ৩৬টি আসনে জয়ী হত হতো। এই রাজ্যে কংগ্রেস এককভাবে ১৫টি আসনে জয় পেয়েছিল। তবে ২০১৭ সালে একটি আসনও পায়নি বিএসপি। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে চারটি আসন। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মণিপুর ও গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছিল ৮ মার্চ, ২০১৭৷ ১১ মার্চ নির্বাচনের ফল সামনে আসাতেই নজরে আসে বিজেপির জয়।  

আরও পড়ুন- EC 5 STATE ASSEMBLY ELECTIONS DATE: নতুন বছরের শুরুতেই ভোটযুদ্ধ, ৫ রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণের ঘোষণা আজ

আরও পড়ুন- Fake COVID 19 Certificates Basted: ১ হাজার টাকা দিলেই কোভিড ১৯ পরীক্ষার ভুয়ো

এবার নির্বাচনের (Election 2022) মূল লক্ষ্য, যা সামনে রেখে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রচার তা হল সমীক্ষা অনুযায়ী, বেকারত্ব উত্তরাখণ্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ২০২১ সালে এক সমীক্ষার ভিত্তিতে সামনে আসা তথ্য অনুযায়ী, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৪০ শতাংশ বলেছেন, বেকারত্ব একটি নির্বাচনী সমস্যা। আবার ঠিক অন্যদিকে ২০ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন যে স্বাস্থ্য এবং পানীয় জল এখানে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী সমস্যা হবে। ১৩ শতাংশ বলেছেন, শিক্ষা একটি বড় নির্বাচনী বিষয়। এখানেই শেষ নয়, ৬  শতাংশ কোভিড -১৯ কে নির্বাচনী সমস্যা বলে সামনে তুলে ধরেছিলেন বাকি শতাংশ মানুষ অন্যান্য সমস্যার কথা জানিয়ে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এখন দেখাক কোন দলে ভরসা রাখে এই পাহাড় (Uttarakhan) ।