সংক্ষিপ্ত
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। যদিও প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছিল পোস্ট মর্টেমটি চার চিকিৎসকের একটি দল পরিচালনা করেছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন দীর্ঘ আলোচনার পরেই নিহতের পরিবার শেষকৃত্য করতে সম্মত হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দিয়ে শেষপর্যন্ত মেয়ের শেষকৃত্য করতে সম্মত হল নিহত অঙ্কিতা ভাণ্ডারীর পরিবার। ১৯ বছরের অঙ্কিতার মত্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ অবস্থান হচ্ছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে শুরু হয়ে পুলকিত আর্যের রিসর্ট কেন ভেঙে দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে উত্তরাণ্ডের জনতাকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন নিহত অঙ্কিতার বাবা। পাশাপাশি তাঁরা অবরোধ তুলে নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন।
নিহতের পরিবারের প্রশ্ন ছিল বনন্তর রিসর্টটি কেন ভেঙে দেওয়া হল? তাদের অভিযোগ মামলায় যাবতীয় প্রমাণ নষ্ট করার জন্যই রিসর্টটি ভেঙে দেওয়া হয়। কারণ রিসর্টটি বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলেরয। যদিও বর্তমানে বিনোদ আর্যকে দল বহিষ্কার করেছে। গ্রেফতার করেছে তাঁর ছেলে পুলকিত আর্যকে। কিন্ত এই ঘটনার আগেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার।
পাশাপাশি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। যদিও প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছিল পোস্ট মর্টেমটি চার চিকিৎসকের একটি দল পরিচালনা করেছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন দীর্ঘ আলোচনার পরেই নিহতের পরিবার শেষকৃত্য করতে সম্মত হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ অবস্থান হচ্ছে। যা নিয়ে সচেতন রয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে নিহতের পরিবারের প্রথমে ফরেন্সিক রিপোর্ট ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই জায়গা থেকে পিছিয়ে এসেছে শেষকৃত্য করতে সম্মত হয়।
পুলকিত আর্য, উত্তরাখণ্ড রিসর্টের মালিক। যে রিসর্টে রিসেপসনিস্টের কাজ করতেন অঙ্কিতা ভাণ্ডারী।গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অঙ্কিতা। ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁর দেহ উদ্ধার হয় একটি খাল থেকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অঙ্কিতা পুলকিতের রিসর্টে রিসেপসনিস্টের কাজ করেত। কিন্তু সেখানে আসা অতিথিদের বিশেষ সার্ভিস দিতে রাজি হননি। সোজা করে বললেন পুলকিত অঙ্কিতার ওপর জোর করছিল অতিথিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য। কিন্তু তাতে অঙ্কিতা রাজি হননি। পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকায় চাকরিও ছেড়ে যেতে চাননি। আর সেই কারণেই পুলকিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। তাতেই পুলকিত অঙ্কিতাকে খালের জলে ঠেলে ফেলে দিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই অঙ্কিতাতে হত্যা করার অভিযোগে পুলকিততে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই পুলকিতের দুই সহযোগী সৌরভ ও অঙ্কিতকে।