সংক্ষিপ্ত

মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর ফোকাস করা কোম্পানি MAXAR এই ছবিগুলি তুলেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে ছবিগুলি।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গ্রামটি কার্যত প্রতিটি বাড়ির দোরগোড়ায় পার্ক করা গাড়ি নিয়ে সম্পূর্ণভাবে জনবসতিপূর্ণ।

সীমান্ত এলাকায় নিজের দখলদারি মনোভাব থেকে সরছে না চিন। দেখা গিয়েছে ভুটানের দিকে ডোকলাম মালভূমির পূর্ব দিকে একটি চিনা গ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই অঞ্চল ভারতের কৌশলগত স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই অঞ্চলটি চিন তার নিজের বলে দাবি করেছে। সেখানে একটি রাস্তা তৈরির চেষ্টা করার পরে ডোকলাম ট্রাই জাংশনে ভারত ও চিনা সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ৭৩ দিন ধরে। 

মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর ফোকাস করা কোম্পানি MAXAR এই ছবিগুলি তুলেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে ছবিগুলি।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গ্রামটি কার্যত প্রতিটি বাড়ির দোরগোড়ায় পার্ক করা গাড়ি নিয়ে সম্পূর্ণভাবে জনবসতিপূর্ণ। আরও জানা গিয়েছে গ্রামের পাশাপাশি একটি সুন্দরভাবে চিহ্নিত সমস্ত আবহাওয়ার ক্যারেজওয়ে তৈরি করা হয়েছে। 

এবার এই ইস্যুতে ভুটানকে সতর্ক করল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছে ডোকলামের আশেপাশে চিনা গ্রাম গড়ে উঠছে। যা ভুটানের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, বেজিং ৩৪৮৮ কিলোমিটারের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার কাজ চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বেজিং ভুটানের সাথে ৪৭৭ কিলোমিটার সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শি জিনপিং সরকার LAC বরাবর মডেল গ্রাম নির্মাণ এবং ভুটানের সাথে বিতর্কিত এলাকায় জনসংখ্যা পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এখানে প্রাক্তন সেনাদের বসতি স্থাপনের প্রস্তুতিও রয়েছে। এটি তিব্বতে 'হান চিনা শাসন'কে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলে খবর। 

সদ্য প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছে আমু চু এর কাছে অবস্থিত একটি চিনা ইউটোপিয়ান গ্রামে গাড়ি এবং বাগান রয়েছে। এর মাধ্যমে চিন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদের দাবির অবসান ঘটাতে চায়। 

এদিকে, যে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি চিনকে ডোকলাম মালভূমিতে একটি কৌশলগত রিজ পর্যন্ত প্রবেশাধিকার দিতে পারে। নতুন ছবি নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মারফত খবর মিলেছে ম্যাক্সার থেকে পাওয়া নতুন স্যাটেলাইট ইমেজ ইঙ্গিত করে যে আমো চু নদী উপত্যকার একটি দ্বিতীয় গ্রামের নির্মাণ এখন কার্যত সম্পূর্ণ হয়েছে। এরই সঙ্গে চিন আরও দক্ষিণে একটি তৃতীয় গ্রাম বা বসতি নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়েছে। 

সীমান্তে ভারতের নজর
ভারত জানিয়েছে দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সেনা। দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রভাবিত করে এমন সমস্ত ঘটনাবলী নজরে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন যে সরকার এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। 

ডোকালাম এলাকায় ভারত ও চীনের মধ্যে ৭৩ দিনের অচলাবস্থা ছিল। চিন ও ভুটানের দাবিকৃত এলাকায় রাস্তা প্রসারিত করার চেষ্টা করেছিল। এদিকে, ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকে, দুই পক্ষ ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারের বিষয়েও কথা বলে।