ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনা বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস বিধায়কের আত্মীয়ের দিকে অভিযোগ  পুলিশের ফায়ারিংয়ে দু’জনের মৃত্যু অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সহ ৬০ জন পুলিশ আহত

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হল দেশের তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। যার জেরে শহরে জারি করতে হল ১৪৪ ধারা। মঙ্গলবার রাতের উত্তপ্ত বেঙ্গলুরু এখনও পর্যন্ত ২ জনের প্রাণ কেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ জন পুলিশকর্মী। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন: ইতিহাসে এই প্রথম, এবারের স্বাধীনতা দিবসে নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে উড়বে ভারতের গর্বের তেরঙ্গা

মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় বেঙ্গালুরুতে ডিজে হাল্লি এলাকায়। কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক আর অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির এক আত্মীয়র করা পোস্টকে ঘিরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার ফেসবুকে একটি 'বিতর্কিত' পোস্ট করেন শ্রীনিবাস মূর্তির ভাগ্নে। তারপরই, পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাতে মূর্তির বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। বাড়ি লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টিও হয়। ২-৩টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর, ডিজে হাল্লি থানায় গিয়ে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।

পরিস্থিতি সামল দিতে গিয়ে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে বেঁধে যায় পুলিশের। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। পুলিশের ফায়ারিংয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও কয়েকজন আহত হন। অন্যদিকে বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে আহত হন পুলিশের প্রায় ৬০ জন কর্মীও।

Scroll to load tweet…

ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত জানান, ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে ২ জন মারা যাওয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি। পুলিশ কমিশনার জানান, একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সহ ৬০ জন পুলিশকর্মী আহত হন।

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন: প্রেমহীন বিশ্বে ভালবাসার এক নতুন সংজ্ঞা লিখলেন প্রৌঢ়, মৃতা স্ত্রীর মোমের মূর্তি নিয়ে করলেন গৃহপ্রবেশ

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস বিধায়কের ভাগ্নে সহ ১১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গোটা শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এছাড়া, উত্তেজিত এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই জানিয়েছেন, হিংসা ও ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এদিকে কংগ্রেস বিধায়ক আর অখণ্ড শ্রীনিবাসের ওই আত্মীয় জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। ওই পোস্টের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।