সংক্ষিপ্ত
প্রকৃতি কখন দামাল হয়ে ওঠে, তা আন্দাজ করার মতো ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মানুষের মস্তিষ্কে জোরালো নয়। ফলে, যা ঘটল, তা এককথায় মর্মান্তিক!
জঙ্গলে ভ্রমণ করতে গিয়ে প্রকৃতির নিজস্ব নিয়ম ভেঙে ফেলেন অনেক পর্যটকরাই। এইসব বেপরোয়া পর্যটকদের প্রকৃতিই সবক শিখিয়ে দেয় কড়া হাতে। আর, সেইসব সবক সহ্য করার ক্ষমতা অনেক সময়ই থাকে না মানুষের মতো ছোট্ট জীবের মধ্যে। ফলে, নিজের প্রাণটি জলাঞ্জলি দিয়ে জঙ্গলের রাজত্বে জরিমানা দিতে হয় অবাধ্যদের। ঠিক যেমনটি দেখা গেল একটি সাম্প্রতির ভাইরাল ভিডিওতে।
-
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে যে, একটি জঙ্গলের ভেতরের রাস্তা দিয়ে দিনের আলোয় যাচ্ছিল কয়েকটি গাড়ি। তারই মধ্যে একটি থেকে নেমে জঙ্গলের ভেতরে থাকা হস্তীরাজকে কৌতূহলভরে দেখছিলেন দু'জন মাঝবয়সি পুরুষ। কিন্তু, প্রকৃতি কখন দামাল হয়ে ওঠে, তা আন্দাজ করার মতো ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মানুষের মস্তিষ্কে জোরালো নয়। ফলে, যা ঘটল, তা এককথায় মর্মান্তিক!
-
জঙ্গলের ভেতর থেকে প্রবল গতিতে আচমকা বেরিয়ে একেবারে রাস্তার ওপর চলে আসে বিরাট হাতিটি। তার সামনে দুজন মানুষ নেহাতই নগণ্য। রাস্তায় থাকা অন্যান্য গাড়িগুলিকেও তোয়াক্কা করেনি ওই দৈত্যাকার প্রাণী। সর্ব শক্তি দিয়ে সে ছুটতে শুরু করে ২ জন বেপরোয়া পর্যটক এবং তাঁদের লাল রঙের গাড়ির পেছনে। দুজন লোকও প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটছিলেন প্রায় দমবন্ধ করে। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না!
-
ছুটতে ছুটতে পেছনের ব্যক্তিকে পড়ে যেতে দেখা যায়। হাতিটি দৌড়ে এসে প্রথমে সামনের পা দিয়ে তাঁকে লাথি মারে । তিনি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন। কিন্তু, জঙ্গলের নিয়ম ভাঙার ভুলের ক্ষমা নেই। তাঁকে শাস্তি দেওয়ার জন্য হাতিটি পেছন ঘোরে, তারপর পেছনের পা দিয়ে আবার সজোরে আরেকটি লাথি কষিয়ে দেয়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কোনওরকমে হামাগুড়ি দিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে যেতে দেখা যায় আহত পর্যটককে।