সংক্ষিপ্ত

স্ত্রীর শারীরিক স্বাধীনতা, গোপনীয়তাকে সম্মান জানান স্বামীর শুধুমাত্র আইনগত দায়িত্ব নয়, বরং একটি নৈতিক দায়িত্বও। যা প্রকৃতপক্ষে সমতাভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

 

'স্ত্রীর শরীরের ওপর মালিকানা দাবি করতে পারে না স্বামী'। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনটাই বলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভিক্টোরিয়ান যুগের পুরনো মানসিকতা পরিত্যাগ করে স্বামীরা বুঝতে শিখুন যে স্ত্রীর শরীর, গোপনীয়তা ও অধিকার শুধুমাত্র তার নিজের। স্বামীর নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানাধীন বিষয় নয়। বিচারপতি বিনোদ দেওয়াকরের বেঞ্চ উল্লেখ করেছে স্ত্রী, স্বামীর সম্প্রসারিত অংশ নয়। বরং তিনি নিজ্ব অধিকার ও স্বাধীনতার অধিকারী একজন ব্যক্তি।

স্ত্রীর শারীরিক স্বাধীনতা, গোপনীয়তাকে সম্মান জানান স্বামীর শুধুমাত্র আইনগত দায়িত্ব নয়, বরং একটি নৈতিক দায়িত্বও। যা প্রকৃতপক্ষে সমতাভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাইকোর্ট এমনটাই বলেথেন একটি মামলার শুনানিতে।

মামলাটি ছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যিনি স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও শ্যুট করেছিলেন। স্ত্রীর কোনও অনুমতি ছাড়াই ভিডিও শ্যুট করেছিল। আবার স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই সেই ভিডিও আপলোড করেছিলেন নিজের ফেসবুক। পরে স্ত্রীর এক আত্মীর সেই ভিডিও স্ত্রীকে শেয়ার করেছিল। যাতে স্ত্রী অসম্মানিত বোধ করেছিল।

অভিযুক্ত ব্যক্তি হাইকোর্টের আবদেন করে চার্জশিট ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ বি ধারায় দায়ের করে মামলাটি বাতিলের আবেদন জানান। অভিযুক্ত স্বামীর যুক্ত ছিল তিনি অভিযোগকারিনীর বৈধ স্বামী হওয়ায় এই ধারা প্রযোজ্য নয়। তখনই আদালত স্পষ্ট করে দেয় স্ত্রীর শরীর স্বামীর মালিকাধীন নয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।