- Home
- India News
- মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১০ হাজার টাকা? পুজোর আগেই দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্যের! কীভাবে আবেদন করবেন?
মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১০ হাজার টাকা? পুজোর আগেই দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্যের! কীভাবে আবেদন করবেন?
বড় ঘোষণা রাজ্যের মহিলাদের জন্য। সামনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে এই রাজ্য সরকার। এবার মহিলাদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত। পুজোর আগেই নাকি ১০ হাজার টাকা করে ঢুকবে অ্যাকাউন্টে। কারা আবেদন করতে পারবেন?

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে চালু হয়েছিল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এবার ফের বড় ঘোষণা করা হল এই রাজ্যের মহিলাদের জন্য। সামনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে এই রাজ্য সরকার। এবার মহিলাদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত। পুজোর আগেই নাকি ১০ হাজার টাকা করে ঢুকবে অ্যাকাউন্টে। কারা আবেদন করতে পারবেন?
প্রথমে ১০ হাজার টাকা, পরে ধাপে ধাপে ২ লক্ষ
সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুরুতে আবেদনকারী মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরপর ছয় মাস ধরে দেখা হবে, সেই টাকা দিয়ে তিনি কোনও ছোট ব্যবসা বা জীবিকা গড়ে তুলতে পারছেন কিনা। কারণ এই টাকা মহিলাদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যই দেওয়া হচ্ছে।
আবেদন করবেন কীভাবে?
এই প্রকল্পে মূলত গ্রামাঞ্চল ও শহর অঞ্চলের জন্য আবেদন পদ্ধতি ও আলাদা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মহিলারা সরাসরি পঞ্চায়েত অফিস কিংবা গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরে গিয়ে অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।
তবে শহর অঞ্চলের মহিলাদের জন্য খুব শীঘ্রই অনলাইনে আবেদনের পোর্টাল চালু করা হবে। উল্লেখ্য, আবেদন করার সময় আধার নম্বর, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে। আর যাচাই সম্পন্ন হলেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকবে।
চালু হয়েছে নতুন প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা (Mahila Rojgar Yojana)। মহিলাদের দেওয়া অর্থের সাহায্যে ব্যবসা সফল হলেই ধাপে ধাপে আরও অর্থ মিলবে। এমনকি শেষ পর্যন্ত একজন মহিলা সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন এই প্রকল্পের আওতায়।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী মহিলাকে অবিবাহিত হতে হবে এবং বাবা-মা জীবিত থাকলে মিলবে না এই প্রকল্পের সাহায্য। দ্বিতীয়ত, মহিলাকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কোনও সক্রিয় সদস্য হতে হবে। তৃতীয়ত, বয়স হতে হবে ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং আর্থিকভাবে দারিদ্র সীমার নীচে হতে হবে।
কোন কোন কাজের জন্য এই টাকা মিলবে?
বিহার সরকার ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য সম্ভাব্য জীবিকার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আর সেই জীবিকাগুলির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিলেই এই প্রকল্পের আওতায় টাকা মিলবে। সেগুলি হল—
ফল, সবজি বা মুদিখানার দোকান।
বিউটি পার্লার, কসমেটিক্স কিংবা গহনার দোকান।
দুধ, ফলের রস কিংবা খাবারের দোকান।
মোবাইল বিক্রি থেকে শুরু করে রিচার্জ, স্টেশনারি কিংবা ফটোকপি সেন্টার।
ছাগল, হাঁস, মুরগি কিংবা গবাদি পশু পালন।
ই-রিক্সা বা অটোরিক্সা সার্ভিস।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিংবা বাসনপত্রের দোকান।
পোশাক, জুতো বা দর্জির দোকান।

