কাবুলের বুকে অন্তত হাজার মানুষ পাকিস্তান বিরোধী মিছিল করলেন। আতঙ্কে গুলি চালালো তালিবান যোদ্ধারা। 

'আজাদি আজাদি'! 

'গো ব্যাক পাকিস্তান'! 

'আইএসআই-এর মৃত্যু হোক'!

মঙ্গলবার, কাবুলের রাস্তায় তালিবান-পাকিস্তানের বুক কাপিয়ে প্রায় এক হাজার আফগান জনগণ প্রতিবাদ মিছিল করলেন। পুরোভাগে ছিল অকুতোভয় আফগান মহিলারাই। তাদের মুখে শোনা গেল স্বাধীনতার স্লোগান। স্পষ্ট ভাষায় ইসলামাবাদ এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর বিরুদ্ধেও স্লোগান দিলেন তারা। আর বিক্ষোভের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে দেখে ভয় পেয়ে সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলি চালালো তালিবান যোদ্ধারা। তবে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তালেবানরা গুলি বাতাসেই ছুড়েছে। কারোর হতাহত হওয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। 

"

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

টোলো নিউজ-সহ বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের পোস্ট করা একাধিক ছবি-ভিডিওতে দেখা গিয়েছে শয়ে শয়ে আফগান নারী-পুরুষ, মুখে তালিবান-পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান এবং হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেমে এসেছে কাবুলের রাস্তায়। সোমবারই আফগানিস্তানের শেষ তালিবান-মুক্ত প্রদেশ পঞ্জশিরের পতন ঘটেছে। আর সেই তালিবানি দখলদারিতে একেবারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে পাক সেনাবাহিনী এবং আইএসআই। এরপরই আফগান রাজধানীর রাস্তায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আফগান জনগণ। 

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

অত্যাধুনিক বন্দুক হাতে দাড়িয়ে থাকা তালিবান যোদ্ধাদের সামনে দিয়েই গনগনে রাগে বিক্ষোভকারীরা আজাদির স্লোগান তুললেন। পাকিস্তান এবং আইএসআই-এর মৃত্যু কামনা করলেন তারা। নিকাব-বোরখা পরে দৃপ্ত পায়ে হাটতে হাটতে আফগান মহিলারা বললেন, 'না পাকিস্তান, না তালিবান - কারোর অধিকার নেই পঞ্জশির আক্রমণের'। মিছিল থেকে প্রশ্ন োলা হল, কাবুলে আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট ফয়েজ হামিদ-এর উপস্থিতি নিয়ে। 

Scroll to load tweet…

গত বেশ কয়েকদিন ধরেই পঞ্জশির থেকে আফগান প্রতিরোধ বাহিনীর নেতারা অভিযোগ করছিলেন তালিবান যোদ্ধাদের সঙ্গে পাক সৈন্যও আল-কায়েদা জঙ্গিরা মিলে হামলা চালাচ্ছে পঞ্জশির উপত্যকায়। রবিবারই নিহত তথাকথিত তালিবান যোদ্ধার কাছ থেকে মিলেছিল পাক সেনার পরিচয়পত্র। আর সোমবার ভোরে তো সব রাখ-ঢাক সরিয়ে পঞ্জশিরে স্মার্ট বোমা বর্ষণ করেছে পাক বায়ুসেনার ড্রোন। বিমানে করে পঞ্জশিরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাক সেনার বিশেষ বাহিনীকে। আর তারপরই প্রতিরোধ বাহিনীর সবথেকে শক্ত ঘাটি, াফগানিস্তানের েতদিনের দুর্ভেদ্য দুর্গ দখল করে নেয় তালিবান পক্ষ।

আরও পড়ুন - কে এই মোল্লা হাসান আখুন্দ - যার হাতে আফগানিস্তানের দায়িত্ব দিচ্ছে তালিবান, দেখুন

আরও পড়ুন- এবার তালিবানি ধর্ষণের শিকার পুরুষও - দেশ ছাড়ার টোপ দিয়ে তৈরি ফাঁদ, দেখুন ছবিতে ছবিতে

আরও পড়ুন - ২০ বছর পর সামনে এল আল-কায়েদার গোপন ষড়যন্ত্র - ৯/১১-র পরই ছিল আরও বড় হামলার ছক, দেখুন

তালিবান সরকারকে েখনও কোনও দেশ স্বীকৃতি না দিলেও, আগ বাড়িয়ে পাকিস্তানি মন্ত্রী শেখ রশিদ, পাক সরকারকে তালিবান নেতাদের 'হেফাজতকারী' বলে দিয়েছেন। তালিবানরাও বলেছে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় বাড়ি। তারপর, েদিন কাবুলের বুকে পাক বিরোধী মিছিল স্বাভাবিকভাবেই ইমরান খানের অস্বস্তি বাড়াবে। 

YouTube video player