সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিদ্রোহী জনকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালানোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

 

শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আমলে বাংলাদেশের (Bangladesh) ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। ছাত্র ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ দমনের পুলিশের (Bangladesh Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। এবার পুলিশের ওপর রাশ টানতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুসের (Mohammad Yunus)সরকার পাঁচ দফা নির্দেশিকা সুপারিশ করেছে। যা জমা দেওয়া হয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশনে। এই নির্দেশিকা যদি জারি করা হয় তাহলে বিক্ষোভ দমনে গুলির ব্যবহার ও বলপ্রয়োগের ওপর যথেষ্ট কড়াকড়ি করা হবে।

গুলি চালানর ওপর বিধিনিষেধ

বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিদ্রোহী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালানোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষি বাহিনীর নীতি ও ১৯৪৩ সালের পুলিশ আইন মেনেই এই বদলগুলি আনতে চাইছে কমিশন। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে আর গুলি চালাতে পারবে না পুলিশ।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ছে! দেরি না করে এভাবেই আবেদন করে ফেলুন

বলপ্রয়োগ নিয়ে আইন

নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনও পরিস্থিতিতে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন হলে পাঁচটি ধাপ মেনে চলতে হবে। প্রথমে কোনও শারীরিক স্পর্শ ছাড়াই জনতাকে বাধা দিতে হবে। বজায় রাখতে হবে নিরাপদ দূরত্ব। দ্বিতীয় ধাপে পুলিশ কর্মীরা গুলি চালান ছা়ড়া অন্য কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। প্রয়োজন হলে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে পুলিশ কর্মীরা। জনতা যদি মারমুখী হয়, ভাঙচুর করে কতবেই পুলিশ পাল্টা আঘাত করতে পারে। তবে পুলিশকে সেক্ষেত্রে জলকামান, কঁদানে গ্যাস, সাউন্ড হল্যান্ড গ্রেনেড, পেপার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। একদম শেষ পর্যায়ে পুলিশ শটগান ও ইলেকট্রিক পিস্তল ব্যবহার করতে পারবে পুলিশকর্মীরা। একমাত্র আত্মরক্ষা আর সরকারি সম্পত্তি রক্ষার উদ্দেশ্যেই পুলিশকর্মীরা গুলি চালাতে পারবে।

DA Hike: কেন্দ্র দিলেই রাজ্য সরকার মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেবে, ডিএ নিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মী

বাংলাদেশে পালা বদলের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য একাধিক কমিশন গড়া হয়েছিল। গত ১৫ জানুয়ারি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে সুপারিশ জমা পড়েছে। সেই সুপারিশে পুলিশ - প্রশাসনের জন্য নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের কথাও বলা হয়েছে। ১১ সদস্যের কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কমিশনের গঠন নিয়ে কোনও প্রস্তাব করা হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।