- Home
- World News
- Bangladesh News
- 'আমরা টাকা না পাঠালে ভারত না খেয়ে মরবে', বাংলাদেশের ছাত্রনেতার হাস্যকর মন্তব্য
'আমরা টাকা না পাঠালে ভারত না খেয়ে মরবে', বাংলাদেশের ছাত্রনেতার হাস্যকর মন্তব্য
Bangladesh Unrest: পদ্মাপারে অব্যাহত নৈরাজ্যের আগুন। সাম্প্রদায়িক উস্কানি আর হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশ। শুধু তাই নয় ভারতের দিকেও আক্রমণের তির শানাচ্ছে বিক্ষোভকারী বাংলাদেশিরা। কী বলছেন তারা? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বাংলাদেশি ছাত্রনেতার কথায় বিতর্ক
ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যু। এক হিন্দু যুবকের মৃত্যু। সব মিলিয়ে চরম অশান্তিতে ভুগছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে দুই দেশের ভিসা অফিস। ফলে চিড় ধরেছে দুই দেশের সম্পর্কেও। এই পরিস্থিতিতে ভারত নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন সেই দেশের এক ছাত্রনেতা। 'বাংলাদেশের টাকায় নাকি ভারত বাঁচে! বাংলাদেশ থেকে টাকা না পাঠালে ভারত না খেতে পেয়ে মরবে।' সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল ওই ছাত্র নেতার এমন আজব দাবি। যা নিয়ে নেটপাড়ায় রসিকতা থেকে শুরু করে চড়ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনা।
কী বলেছেন ওই ছাত্রনেতা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে ওই ছাত্রনেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে যে- ‘’ বাংলাদেশ থেকে ভারত প্রতিবছর এক লক্ষ কুড়ি হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায়। যদি ভারতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে ভারত অনাহারে মরে যাবে।'' বাংলাদেশের ছাত্রনেতার এই মন্তব্যে তুমুল শোরগোল তৈরি হয়েছে দুই দেশের রাজনীতিতে। এমনকি অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে- ওই বক্তব্য বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিছিন্ন। কারণ, ভারত হলো এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। পরিমাণ প্রায় ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের মোট জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ অর্থনৈতিক পরিসরে ভারত বাংলাদেশের থেকে নয় গুণ বড়।
কী বলছে ভারত সরকার?
এই বিষয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ভারত এখন শুধুমাত্র ১৪০ কোটি জনগণের খাদ্য নিশ্চিতই করে না। কঠিন সময়ে বিশ্বের যে কোনও দেশের পাশে দাঁড়ায় মানবিক ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। এমনকি ভারতীয় জনগণের খাদ্য নিশ্চিত করার পর বিদেশে খাবার রফতানিতেও শীর্ষে এই দেশ।
বাংলাদেশে বাড়ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা!
এদিকে ওই ছাত্রনেতার ভারত সম্পর্কে এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য এমন সময়ে ভাইরাল হয়েছে যখন- বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছে। তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক সঙ্কটও। ফলে এই ধরণের মন্তব্য মূলত শুধুমাত্র আলোচনায় আসার চেষ্টা। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই বলেও দাবি করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অজ্ঞতা
এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অজ্ঞতা বলেও কটাক্ষ করেছেন কেউ- কেউ। এমনকি রাজনৈতিক আবহে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাষণে বাস্তবসম্মত জ্ঞানের পরিবর্তে কল্পনার আশ্রয় নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

