সংক্ষিপ্ত

সপ্তাহের শেষে মোকার কারণে মায়ানমারের নিচু এলাকা ও বাংলাদেশের কিছু অংশ প্লাবিত হতে পারে। সেখানে আকস্মিক বন্যা আর ভূমিধসের সম্ভাবনাও প্রবল বলে জানিয়েছেন।

 

ঘূর্ণিঝড় মোকা আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝ়ড়ে পরিণত হয়ে ধেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে এই ঝড় বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী কোনও স্থানে আছড়ে পড়তে পারে। তাই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে সতর্ক করেছে। বলেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের সবথেকে বড় শরণার্থী শিবির বা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আঘাত করতে পারে। শুক্রবার থেকেই কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোকার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ক্লেয়ার নুলিস জেনেভা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন সপ্তাহের শেষে ঝড়ের কারণে মায়ানমারের নিচু এলাকা ও বাংলাদেশের কিছু অংশ প্লাবিত হতে পারে। সেখানে আকস্মিক বন্যা আর ভূমিধসের সম্ভাবনাও প্রবল বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, 'এটি খুবই বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়।' তিনি আরও বলেছেন, এটি এমন জায়গায় আছড়ে পড়বে যেখানে থাকে বিশ্বের সবথেকে বিপন্ন কয়েক হাজার মানুষ। এই ঘূর্ণিঝড় তাদের জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিশ্ব আবাহওয়া সংস্থা আরও বলেছে, মোকা ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের গতিপথ যা তাতে সরাসরি বাংলাদেশে আছড়ে না পড়লেও কক্সবাজারকে প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত জেলা কক্সবাজার। সেখানেই বিশ্বের সবথেকে বড় শরণার্থী শিরিব। এই শিবিকে বাস করেন প্রায় এক কোটি রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনা বাহিনীর অত্যাচারে এরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তারপর থেকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পই এদের ভরসা।

রাষ্ট্র সংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ওলগা সাররাডো বলেছেন, প্রয়োজনে ক্যাম্পটি কিছু সরিয়ে নেওয়া হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সংস্থা ইতিমধ্যে কয়েক হাজার খাবারের প্যাকেট, জ্যারিকেন ও পানীয় জল প্রস্তুত রেখেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, শিবিরের জন্য ৩৩টি মোবাইল মেডিক্যাল৪০টি অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সার্ভিসের ব্যবস্থা আগে থেকেই করা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে মায়ানমারের জন্যও ৫ লক্ষ পানীয় জলের পাউচ, প্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরি রাখা হয়েছে। কারণ মোকা শক্তিশালী ঝড়ের রূপ নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মার্গারেট হ্যারিস বলেন, এটি যদি খুবস শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তারা যাতে এলাকায় যেতে পারেন তার জন্য এখন থেকেই তৈরি রয়েছেন।