আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্রতর হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে, অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে।
আরও তীব্র হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা দেওয়ার পর দেশব্যাপী প্রতিবাদ আরও তীব্র করছে আওয়ামী লীগ। আইসিটির সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে দাবি করেছে তারা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং প্রতিরোধ মিছিল হবে বলে তারা জানিয়েছে।
আওয়ামী লিগ এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছে, ‘অবৈধ দখলদার, খুনি, ফ্যাসিস্ট ইউনূসের পদত্যাগ এবং অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের দাবি।’
আওয়ামী লিগ সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, কীভাবে অবৈধ দখলদার ইউনূস এবং তার দলের তৈরি ভুয়ো আদালত হসিনার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। জনগণ এই প্রতারণামূলক সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, ইউনূস গোষ্ঠী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দলকে আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আওয়ামী লিগ সতর্ক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাদের দাবি, স্বাধীনতাপন্থী শক্তি, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে কোনও ধাপ্পাবাজি সরকার হতে দেওয়া হবে না। যে কোনও মূল্যে এটি প্রতিরোধ করা হবে।
এদিকে আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস একটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবিতে ভারতে একটি সরকারি চিঠি পাঠিয়েছেন। যাতে আইসিটির সিদ্ধান্তের পরে আরও পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সব মিলিয়ে ক্রমে তীব্র হচ্ছে অশান্তি। তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আওয়ামী লিগ। তারা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের চুুপ রাখতে পারবে না ইউনূস সরকার।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধে শেষ হাসিনার প্রাণদণ্ডের সাজা ঘোষণার পরে থেকে তোলপাড় হচ্ছে সারা বিশ্ব। এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল আন্তর্জাতিক মহলে। যে ভাবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও তাঁর জমানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতে তাঁদের বিচার শেষ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। এই নিয়ে সরব হয় আরও বেশ কয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে চাপে মধ্যে এক বিশেষ ঘোষণা করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।


