সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টানের পাশে একটি সাত তলা ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

 

প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকার গুলিস্তান। মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টানের পাশে একটি সাত তলা ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আহতের সংখ্যা শতাধিক । ঘটনাস্থলে রয়েছে ফায়ারসার্ভিসের ১১টি ইউনিট। এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ১৫ জন নিহতকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অধিকাংশেরই পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের বিক্ষোভের কারণ উদ্ধারকাজ বাধা পেয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ একটি স্যানিটারি দোকানে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের কারণে ওই দোকানঘরটি পুরোপুরি ধ্বংয়স্তূপে পরিণত হয়। দোকানঘরের ওপরের কয়েকটি তলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ তা এখনও স্পষ্ট নয়। নাশকতার পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়েছিল। তারপরই গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। স্থানীয়রা এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দিয়েছিল। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন বিস্ফোরণ এতটাই জোরালো ছিল যে এই বাড়ির কাচ গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই কাজে নামে প্রশাসন। ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বোমা নিস্ত্রিয় করা ইউনিটগুলি ঘটনাস্থলে যায়।

প্রশাসন জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ স্যানিটারি দোকানের ভিরত অবৈধ কাজকর্ম চলছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দুলে উঠেছিল এলাকা। তিনি ভেবেছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বিস্ফোরণস্থলে তিনি ২০-২৫জনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন। আহতদের ভ্যান রিক্সায় করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঢাকা পুলিশ মনে করছে এই ঘটনার পিছনে কোনও নাকশতা নেই। ঢাকা সায়েন্স ল্যাবরেটারির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিশ জানিয়েছে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।

 

এই ঘটনায় এখনও গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। তবে বিকেলে বিস্ফোরণ হলেও রাত অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই আশান্তি বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।