সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে গত ২ মাসে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার-অবিচার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের রংপুরে এক স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেন প্রধান শিক্ষক। এই স্কুলের নাম মোসলেম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষকের নাম মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরে আসার নির্দেশ দেন। এছাড়া হিন্দু ছাত্রীদের কোরান মুখস্ত করারও নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে হিন্দু ছাত্রীরা। এর জেরেই প্রধান শিক্ষককে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেওয়া হল। প্রতিবাদের ফল পাওয়ায় রংপুরের হিন্দুরা খুশি। তবে তাঁরা চাইছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোনও সংখ্যালঘুর সঙ্গেই যেন বৈষম্য না করা হয়।
'স্বাধীন' বাংলাদেশেও কেন বৈষম্য?
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যখন কোটা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন দেশকে বৈষম্যমুক্ত করার কথা বলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানে হামলা, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, জমি দখলের ঘটনা রোজই দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হিন্দু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অপমান করে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। রংপুরের স্কুলের ঘটনাও ভয়াবহ। এক ছাত্রী বিয়ের পর শাঁখা-সিঁদুর পরে স্কুলে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, হিন্দুধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যও করা হয়।
হিন্দু ছাত্রীদের নিয়মিত অপমান
মোসলেম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্রীদের অভিযোগ, এই স্কুলে অতীতে গীতা পড়ানো হত। কিন্তু এখন শুধুই কোরান পড়ানো হয়। হিন্দু দেব-দেবী, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন শিক্ষকরা। সহপাঠীরাও হিন্দু ছাত্রীদের অপমান করে। এর বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছে হিন্দু ছাত্রীরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
নিজেদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষমতা নেই, দেশবাসীকে কম খাওয়ার পরামর্শ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার