সংক্ষিপ্ত
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ ক্রমশঃ কট্টরপন্থী হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত রীতিমতো আশঙ্কাজনক। কট্টরপন্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত-বিরোধিতাও বাড়ছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে মৌলবাদ ও কট্টরপন্থা ছড়ানো হচ্ছে। এবার অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো 'কউন বনেগা ক্রোড়পতি'-র ধাঁচে আয়োজিত ক্যুইজ শোয়েও কট্টরপন্থা দেখা গেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘নবী রসুলকে গালি দেওয়ার শাস্তি কী?’ সম্ভাব্য উত্তরগুলির মধ্যে আছে, '১০০টি পাথর নিক্ষেপ করা,' 'হাত কর্তন করা,' 'এক হাত এক পা কর্তন করা' এবং 'মৃত্যুদণ্ড'। এক প্রতিযোগী ঠিক উত্তর দিয়েছেন। ঠিক উত্তর হল 'মৃত্যুদণ্ড'। এই ভিডিও দেখে অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ এখন মৌলবাদের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা অবশ্য ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
বাংলাদেশে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচার
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি ও জামাত বরাবরই ভারত-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামি লিগও ভারত-বিরোধিতায় প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচার চলছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। হাসিনা অবশ্য সম্প্রতি এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, যাঁরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছেন, তাঁদের স্ত্রীদের শাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া উচিত। কারণ, শাড়িও যায় ভারত থেকেই। কিন্তু হাসিনার বিরোধিতার পরেও বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা অব্যাহত। এক্ষেত্রে প্রথম সারিতে আছে বিএনপি। ভারত-বিরোধিতার মাধ্যমে ফের বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশে সবক্ষেত্রেই ভারত-বিরোধিতা
২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারের পর বাংলাদেশে উল্লাসের ছবি দেখা যায়। অনেক তরুণ-যুবক প্রকাশ্যে ভারতের হারে আনন্দ প্রকাশ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও। ফের বাংলাদেশে কট্টরপন্থার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
BSF Video: বাংলাদেশ থেকে বর্ডার পেরিয়ে ভারতে ঢুকছে কারা? ড্রোন ক্যামেরা দেখাল চাঞ্চল্যকর দৃশ্য
বাংলাদেশ থেকে এসে কেন দিল্লির মন্দিরের ওপর ড্রোন ওড়াচ্ছিলেন মহিলা! রাজধানীতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন