সংক্ষিপ্ত
চরম আর্থিক সংকটের মুখে আফগানিস্তান। অর্থ সাহায্যের বদলে তালিবানদের কাছ থেকে বাগ্রাম বিমান ঘাটি চাইছে চিন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পালা চলেছে। তালিবানরা েখনও ভারপ্রাপ্ত সরকার ঘোষণা করে উঠতে পারেনি। কিন্তু, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল নিয়ে তুঙ্গ আলোচনার মধ্যে আড়ালে চলে গিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের হাল-হকিকতের কথা। চরম আর্থিক সংকটের মুখে সেই দেশের নাগরিকরা। আর ঠিক ই ফাক দিয়েই আফগানিস্তানের গ্রেট গেমে ঢুকে পড়তে চলেছে চিন, েমনটাই মনে করচেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সোনা যাচ্ছে আফগানিস্তানের বাগ্রাম বিমানঘাঁটি সহ েকাধিক বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে বেজিং। বদলে বাড়িয়ে দেবে টাকার ঝুলি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে বর্তমানে তীব্র মানবিক সকট দেখা দিয়েছে। নতুন শাসক তালিবানরা মহিলা-সহ বাসিন্দারের মানবাধিকার রক্ষা করবে কিনা সেই নিয়ে যেমন প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে, সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। শুধু খাদ্যই নয়, েতদিন মার্কিন সমর্থিত সরকারের সময়ে ওষুধপত্র থেকে শুরু করে যেসব প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ করত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র, বেসরকারি সংস্থাগুলি, তার সবই েখন বন্ধ রয়েছে। কোষাগার পুরো ফাকা। তালিবানদের হাতেও বিশেষ অর্থ নেই। মার্কিন বাহিনীও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ই অবস্থায়, নতুন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চলেছে চিন। েমনটা শুধু বিশ্লেষকরা বলছেন না, তালিবান মুখপাত্র জাবিবুল্লা মুজাহিদও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন।
মনে করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অর্থনৈতিক অনুপস্থিতির শূন্যতা পূরণের জন্য ঝাপাবে বেজিং। বেল্ট অ্যান্ড রোড বা বিআরআই প্রকল্পের প্রস্তাব দিলে তা না নেওয়ার কোনও কারণ নেই তালিবানদের। ের বদলে আফগানিস্তানের কৌশলগলভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাগ্রাম বিমানবন্দরটি পরিচালনার অধিকার দাবি করতে পারে চিন। তালিবানদেরও সেখানে বিমান ঘাঁটি পরিচালনার জন্য কাউকে প্রয়োজন। তাই তাদেরও ই বিষয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়।
আরও পড়ুন - অকুতোভয় আফগান মহিলাদের রুখতে ব্যর্থ তালিবানি বন্ধুকও - খোদ রাজধানীতেই বিক্ষোভ, দেখুন
আরও পড়ুন - পঞ্জশির কাদের দখলে, প্রবল ধোঁয়াশা - তালিবানদের সঙ্গেই লড়ছে আল-কায়েদা, পাকিস্তানও
বাগ্রাম বিমানবন্দরটি আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। সেইসঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবেও সুসজ্জিত। কাবুল বিমানবন্দরে কিছু ঘটলে তার পরিবর্তে বিমান বন্দর হিসাবে বাগ্রামকে শেষ পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য তৈরি রেখেছিল মার্কিন বাহিনী। আফগানিস্তানে বেজিং-র অর্থনৈতিক হাত বাড়ানোর জন্য চিনের একটি নিরাপদ বিমান ঘাঁটি প্রয়োজন। সেইসঙ্গে তারা বাগ্রাম ঘাটিকে ব্যবহার করতে পারে ভারতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে দূরে রাখার জন্য। ই েলাকায় চিন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জোট বেধে ভারত ওই অঞ্চলটি বাণিজ্যের জন্য মুক্ত রাখতে চায়।