সংক্ষিপ্ত
চিনাদের লোকায়ত চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিভিন্ন বন্য প্রাণী, মাছ, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। চিনা টোটকা মেনে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পায়ুছিদ্র দিয়ে ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, জ্যান্ত একটি ইল মাছ ঢোকালেন এক ব্যক্তি।
চিনাদের সঙ্গে বন্য প্রাণী, মাছ, পাখিদের এক অদ্ভূত সম্পর্ক। তারা যেমন অদ্ভূত অদ্ভূত বন্য প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করে থাকে, তেমনই তাদের লোকায়ত বিভিন্ন উদ্ভট চিকিৎসা পদ্ধতিতেও বিভিন্ন প্রাণীর ব্যবহার রয়েছে। আর এরকমই এক লোকায়ত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে পূর্ব চিনের জিয়াংসু প্রদেশের এক ব্যক্তি তাঁর পায়ুছিদ্র দিয়ে মলাশয়ে ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, জ্যান্ত একটি ইল মাছ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর যা ঘটল!
চিনা সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মাছটি মলাশয়ে প্রবেশ করিয়ে কাঙ্খিত আরাম তো তিনি পাননি, উপরন্ত, মাছটি তার মলাশয় দিয়ে সরাসরি অগ্নাশয়ে চলে যায়। তারপর অগ্নাশয়ে একটি গর্ত করে সেটি ওই ব্যক্তির পেটে প্রবেশ করে। প্রথমে লজ্জায় তিনি ডাক্তার দেখাতে যেতে চাননি। কিন্তু, পরে তাঁর পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। উপায়ান্তর না দেখে তিনি ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ডাক্তারদের ইলমাছটিকে তার পেট থেকে বের করার জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মাছটি বের করার পরেও আশ্চর্যজনকভাবে সেটি জীবিত ছিল। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, বেশি দেরি করলে ওই রোগীর প্রাণ সংশয়ও হতে পারত। কারণ বৃহদন্ত্রে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে সেগুলি পেটের গহ্বরে পৌঁছলে হিমোলাইসিস হতে পারত।
আরও পড়ুন - 'কেন আমি বুড়ো আর মোটা', এক রাতে গায়েব ২০ বছরের স্মৃতি, ৩৬-এর যুবক মনে মনে ১৬-র কিশোর
আরও পড়ুন - মৃতের ছাই বা চুল থেকে হীরা তৈরি করে এই সংস্থা, এমন উদ্ভট ব্যবসার ভাবনার এল কোথা থেকে
আরও পড়ুন - কিশোরের পায়ুছিদ্র দিয়ে বেরোচ্ছে একের পর এক ডিম - মানুষ না মুরগী, হতবাক চিকিৎসকরা
চিনে খাদ্য হিসাবেও দারুণ জনপ্রিয় ইল মাছ
খুব একটা কাজ দেয় বলে জানা যায়নি, তবে গোটা চিন জুড়েই পায়ুছিদ্র দিয়ে ইলমাছ ঢুকিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ের লোকাত চর্চা রয়েছে। ২০২০ সালেই দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশের এক ব্যক্তি গুরুতর সেপসিস নিয়ে ডংগুয়ান হুয়াংজিয়াং হাসপাতালে এসেছিলেন। সেপটিক শক-এ ডাক্তারদের তিনি জানাতেও পারেননি তাঁর কী হয়েছে। সিটি স্ক্যান করে ডাক্তাররা দেখেছিলেন তার পেটে একটি ১৫ ইঞ্চি দীর্ঘ এশিয়ান সোয়াম্প ইল মাছ রয়েছে। সেইক্ষেত্রেও শল্যচিকিত্সা করেই মাছটিকে বের করতে হয়েছিল। পরে, চিকিত্সকদের ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য ইল মাছটি তিনি নিজেই নিজের পায়ুছিদ্র দিয়ে মলাশয়ে প্রবেশ করিয়েছিলেন।