সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার মেলবোর্নে চতুর্দেশীয় অক্ষ তথা কোয়াডের বৈঠকে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, "সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এটা তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে যাঁরা এতদিন ভারত থেকে এখানে আসার চেষ্টা করছেন।"

করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্তের জেরে প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত (Australian border)। অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আবার অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক পর্যটকরা (Foreign Tourist)। পর্যটক, ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী ও অন্যান্য ২০২০ সালের ২০ মার্চের পর থেকে আর অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুতি দেওয়া হয়নি। অবশেষে সেই সামীন্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই দেশের সরকার। এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

শুক্রবার মেলবোর্নে (Melbourn) চতুর্দেশীয় অক্ষ তথা কোয়াডের (Quad Meeting) বৈঠকে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, "সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের (Australia Govt) এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এটা তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে যাঁরা এতদিন ভারত থেকে এখানে আসার চেষ্টা করছেন। মূলত পড়ুয়া, অস্থায়ী ভিসা গ্রাহক ও যাঁরা পরিবারের থেকে দূরে রয়েছেন তাঁদের জন্য এই সিদ্ধান্ত খুবই উপকারী।" 

আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে বিরাটের সই করা ব্যাট উপহার এস জয়শঙ্করের

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সীমান্ত সীমিত আকারে পুনরায় খোলার পর শুধু সম্পূর্ণভাবে টিকা নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পরিবার, দক্ষ শ্রমিক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরের সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক সীমানা এখন সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে, সবাইকে অন্তত ২টি টিকা নিতে হবে। যাদের টিকা নেওয়া হয়নি, তাদের প্রমাণ দিতে হবে যে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনও শারীরিক ঝুঁকি রয়েছে।'

আরও পড়ুন- অটল টানেলের মুকুটে নয়া পালক,ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসে বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক-সুড়ঙ্গের তকমা

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সুস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কোয়াড-এর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসেন ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রীরা। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী ম্যারিস পেন, জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “স্বাধীন, উদার এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যেকের যে ধ্যানধারণা রয়েছে, তা পরস্পরের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমরা কর্মসূচি তৈরি করছি। আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি এবং সুস্থিতির জন্য তা প্রয়োজন।” পাশাপাশি তিনি বলন, "কোভিড অতিমারির মোকাবিলায় কোয়াডের চলতি প্রয়াসকে আরও পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে। কম দামে কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলির জন্য টিকা, তা বণ্টনের সুব্যবস্থা, এ জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়া ও দক্ষতা বাড়ানোর পথনির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।”

আরও পড়ুন-অটল টানেলে গাড়ির মেলা ছাপিয়ে গেল সব রেকর্ড, দুর্ঘটনা রুখতে কড়া নিরাপত্তা

কোয়াডের মঞ্চে দাঁড়িয়েও বিদেশমন্ত্রী বলেন, "আমরা বাস করছি একটি ভঙ্গুর, বহুবিভক্ত প্রতিযোগিতাদীর্ণ বিশ্বে। এই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যার প্রতিফলন বোধহয় সবচেয়ে বেশি। কোয়াডের মাধ্যমে সমমনস্ক সহযোগী দেশগুলি একজোট হয়েছি। আমার সর্বদাই মনে হয়, এ এক বিরাট ভরসার কথা।"