সংক্ষিপ্ত

  • কাশেম সোলেমানির শেষকৃত্যে জনসমুদ্র ইরানে
  • আমেরিকাকে হুমকি সোলেমানির কন্যার
  • আমেরিকার কালো দিন আসছে, হুঁশিয়ারি কন্যার
  •  রুহুল্লাহ্ খামেনির শেষকৃত্যে জনপ্লাবনকে ছাপিয়ে গেলেন সোলেমানি
     

হাজার হাজার মানুষ নেমে এসেছিলেন রাজপথে। তেহেরানের রাস্তাজুড়ে কেবল জনসমুদ্র। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের প্রধান কাশেম সোলেমানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে সোমবার তেহেরান জুড়ে ছিল কেবল মানুষের মিছিল।

আরও পড়ুন : টেক অফ করতেই মাঝ আকাশে খুলে গেল বিমানের চাকা, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর মুহুর্তের ভিডিও

গত সপ্তাহেই বাগবাদ বিমানবন্দরে মার্কিন রকেট হানায় মৃত্যু হয় ইরানের সেনাপ্রধান সোলেমানির। এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাবার শেষকৃত্যে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রশাসনকে হুমকি দিয়েছেন সোলেমানির কন্যা। এই হত্যা আমেরিকায় 'কালো দিন' নিয়ে আসবে বলে হুঁশিয়ারি তাঁর।

 

 

"ক্রেজি ট্রাম্প, এমন মনে করবেন না আমার বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সব শেষ হয়ে গেল।" জাতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে  এমন হুমকি দিতে শোনা যায় জেইনাভ সোলেমানিকে। 

আরও পড়ুন: সপ্তাহে কাজের দিন কমে হচ্ছে ৪, করতে হবে ৬ ঘণ্টা কাজ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বিমানবাহিনী হামলা চালায় বাগদাদ বিমানবন্দরেয যাতে মৃত্যু হয় ইরানের প্রধান এই সেনা কর্তার। সোলেমানির হামলার বদলা নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে সুর চড়াতে শুরু করেছে ইরান প্রশাসন। মৃত্যুর পর জাতীয় বিরের সম্মান পেতে শুরু কেরেছেন কাশেম সোলেমানি।

১৯৮৯ সালে ইরানের ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ রুহুল্লাহ্ খামেনির মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা এতদিন রেকর্ড ছিল ইরানে। সোলেমানির শেষকৃত্যেও সংখ্যাটা প্রায় সেরকমি বলে ধরা পড়ছে ইরানের জাতীয় টেলিভিশনের ছবিতে। 

 

 

এদিকে ইরানের হুমকির জবাবে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। আমেরিকার উপর হামলা চালান হলে ইরানের ৫২ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাল্টা হামলা চালান হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। যারমধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক স্থানগুলিও। আর দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা বাকযুদ্ধে  মধ্যপ্রচ্যে ক্রমেই বাড়ছে  উত্তেজনার পারদ।