সংক্ষিপ্ত
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে সব বিমানকে রুট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। আর যদি কোনও বিমান কাবুলের আকাশসীমায় প্রবেশ করে তাহলে সেই বিমান আর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
বন্ধ করে দেওয়া হল কাবুলের আকাশসীমা। তাই কাবুল বিমানবন্দর থেকে এই মুহূর্তে আর কোনও বিমানের ওড়া সম্ভব নয়। আধিকারিকদের তরফে একথা জানানো হয়েছে। এর ফলে এই মুহূর্তে সেখানে কোনও বিমান যেতেও পারবে না। সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের আফগানিস্তানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সেখান থেকে উদ্ধার করার কথা ছিল। কিন্তু, এই নয়া নির্দেশিকার জেরে তাও সম্ভব হচ্ছে না। কাবুলের আকাশসীমা বন্ধ করার জন্য NOTAM বা নোটিশ টু এয়ারমেন জারি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আফগান আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় আমেরিকা থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলির রুট পরিবর্তন করা হতে পারে। এছাড়া, জ্বালানি ভরার জন্য গাল্ফের কোনও এক দেশ দিয়ে রুট পরিবর্তন করা হবে বিমান এআই -১২৬ (শিকাগো-দিল্লি) এবং এআই -১৭৪ (সান ফ্রান্সিসকো-নয়াদিল্লি)-র। আফগান আকাশপথ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে একাধিক বিমান। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিমানে করে ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিকল্প রুট খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এয়ার ইন্ডিয়া।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে সব বিমানকে রুট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। আর যদি কোনও বিমান কাবুলের আকাশসীমায় প্রবেশ করে তাহলে সেই বিমান আর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
প্রসঙ্গত, রবিবারই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করেছে তালিবান। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের দখল নিয়েছে তারা। এদিকে তালিবানরা দখল নেওয়ার পরই ওই দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পাড়ি দেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। এছাড়া দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
আরও পড়ুন- তালিবান শাসনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তাক্ত কাবুল, দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া আফগানবাসী
রবিবার কাবুল থেকে দিল্লিতে ১২৯ যাত্রী নিয়ে এসেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেদেশের বাসিন্দাদের মনে। প্রাণে বাঁচতে বেশিরভাগ বাসিন্দাই বিমানে ওঠার জন্য ভিড় করেন বিমানবন্দরে। আর আজ সকালে বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়েছিল বিমানবন্দরে। হাজার হাজার মানুষকে বিমানবন্দরে ভিড় করতে দেখা গিয়েছিল। এমনকী, বিমানে জায়গা না হওয়ায় চাকার সঙ্গেও নিজেদের বেঁধে নিয়েছিলেন অনেকেই। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি করে মার্কিন সেনা। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত, আমেরিকা, কানাডা-সহ একাধিক দেশ। কিন্তু, তার মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।