সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ কোরিয়ার জায়েন্ট চিফস অব স্টাফ রিপোর্ট করেছেন এটি একক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলেও মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশের পূর্ব উপকূলে সমুদ্রে রবিবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই খবর পাওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন-এর সভাপতিত্বের দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জরুরি বৈঠকও করেছে। 

চলতি বছর শুরু থেকে ক্রমশই হুংকার দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী (North Korea) শাসক কিম জং উন (Kim Jong Un)। একের পর এম ব্যালাস্টিক মিসাইল (Missile) উৎক্ষেপন করে চলেছেন তিনি। রবিবার তাঁর দেশ উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালের সপ্তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতিকালে এটাই সবথেকে বড় মিসাইল পরীক্ষা। এটি মধ্য়বর্তী পাল্লার একটি ব্যালাস্টিক মিসাইল যা মহাকাশে পরীক্ষা করা হয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটি নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশী ও যুযুধান দক্ষিণ কোরিয়া। 

দক্ষিণ কোরিয়ার জায়েন্ট চিফস অব স্টাফ রিপোর্ট করেছেন এটি একক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলেও মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশের পূর্ব উপকূলে সমুদ্রে রবিবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই খবর পাওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন-এর সভাপতিত্বের দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জরুরি বৈঠকও করেছে। সেই বৈঠকেই পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন ২০১৭ সালের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া এতবড় ও শক্তিশালী ক্ষোপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এজাতীয় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা ঠিক নয়। তাতে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির সামনে যুদ্ধের হুমকি বেড়ে যায়। 

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিং জং উন বলেছেন, তিনি এজাতীয় কোনও স্থগিতাদেশে আবদ্ধ নন। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি তা জানিয়েছিলেন।  তবে রবিবার এজাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিন্দা করা হয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে এটি বেআইনি অস্ত্র। সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এজাতীয় মিসাইল উৎক্ষেপণের ফলে। 

তবে কিম যে মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিলেন তা কতটা শক্তিশালী তার একটি আভাস দিয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রচি ২ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ৩০ মিনিট উড়েছিল। ৪০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ছিল। তবে পরীক্ষার করার জন্য যে নির্দেশিকা রয়েছে তাতে বলা সচারচর ৬০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পাল্লার মিসাইল পরীক্ষা করা হয়। 

ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এজাতীয় মিলাইস উত্তর কোরিয়ার ২০১৭ সালে শেষবারের মত পরীক্ষা করেছিল। তারপর প্রায় পাঁচ বছর বাদে এজাতীয় শক্তিশালী মিসাইল পরীক্ষা করল দেশটি। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাগাং প্রদেশে চলতি মাসে দুটি মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছে। একটি হাইপারসসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। যা তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে রবিবার কী জাতীয় মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি উত্তর কোরিয়া। 

Cauvery Calling: কাবেরী কলিং-এর বড় সাফল্য, ২ কোটি চারা রোপন হয়েছে বলে দাবি সদগুরুর

Punjab Election 2022: সিধুর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বোনের, ভোটের মুখে ঘরোয়া আশান্তিতে জেরবার কংগ্রেস প্রার্থী

Pegasus Case: পেগাসাস ইস্যুতে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের ওপর, নতুন করে মামলা সুপ্রিম কোর্টে