বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে দুনিয়ার ২০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। আক্রান্ত ১৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে অধিকাংশ দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। আর এর মাঝেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করল চিনের হুবেইয়ের রাজধানী উহান। এই শহর থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এবার সেখানেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন শহরবাসী। গত বছর ডিসেম্বরের শেষদিকে এই শহর থেকেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত ২৩ জানুয়ারি পুরো উহান লকডাউন করে দেওয়া হয় উহান। তারপর ৭৬ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর বুধবার থেকে সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এখানে । মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে এই শহরে।
বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩১ হাজারের বেশি। কোভিড ১৯ রোগে মারা গিয়েছে ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। এর মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৫০০টি করোনা সংক্রমণনের খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার দেশে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তবে এর মধ্যেই রয়েছে ভাল খবর করোনার এপিসেন্টার উহানে ৭৬ দিন পর তুলে নেওয়া হল লকডাউন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। ভারতে ও বিশ্বব্যপী এই মহামারী সংক্রান্ত সর্বশেষ খবরাখবর জানতে চোখ রাখুন এখানে -
এতদিন ৯/১১ হামলাকেই নিউইয়র্ক শহরের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় মনে করা হত
ওই হামলায় শহরের ২,৭৫৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল
কিন্তু, করোনার ত্রাস, সেই সন্ত্রাসবাদী হামলাকেও ছাপিয়ে গেল
গত ২৪ ঘন্টায় শুধু এই শহরেই মৃত্যু হয়েছে ৭৩১ জনের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই নেই রাজা-প্রজা কারও। দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটেনের রাজকুমার প্রিন্স চার্লসও। রেহাই মেলেনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর। করোন জীবানু পাওয়া গেছে, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষার পরে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ব্রিটেন ও ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বিশ্বের প্রথমসারির নেতা বা তাঁদের গৃহিনীরা কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার পরই নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি করে রেখেছিলেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বাকি সকলের থেকে। মেনে চলেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইড লাইন। প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরেই।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় পৌঁছে গেছে ১৪ লক্ষে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর মাত্র ৫টি দেশেই রয়েছে মোট আক্রান্তের ৬২ শতাংশ। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে এগিয়েছে রয়েছে আমেরিকা। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষের কাছাকাছি। এর পরেই রয়েছে স্পেন, ইতালি, এবং জার্মানি। প্রতিটি দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। অন্যদিকে ফ্রান্সেও কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পৌঁছে গেছে এক লক্ষের দোড়গোড়ায়। তবে দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কয়েকটি জায়াগায় করোনার প্রকোপ দেখা গেলেও তা উদ্বেগজনক নয়। আর আফ্রিকায় ভাইরাসটি তেমন সুবিধা করতে পারছে না। দক্ষিণ এশিয়াতেও এর অবস্থান বেশ দুর্বল।
করোনা পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হল না গোটা দুনিয়ায়। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ লক্ষের কাছাকাছি। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছে গেল ৭৫ হাজারে। বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে ভারতেও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদেশে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৫৭। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩২। এদিকে ব্রিটেনবাসীর আশঙ্কা বাড়িয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। ভারতে ও বিশ্বব্যপী এই মহামারী সংক্রান্ত সর্বশেষ খবরাখবর জানতে চোখ রাখুন এখানে -