সংক্ষিপ্ত

ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পরে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গোটা দেশই প্রায় অগ্নিগর্ভ। দেশের বিক্ষিপ্ত এলাকায় রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষ ইমরানের গ্রেফতারির বিরোধিতা করতে শুরু করেছে।

 

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পরে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গোটা দেশই প্রায় অগ্নিগর্ভ। দেশের বিক্ষিপ্ত এলাকায় রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষ ইমরানের গ্রেফতারির বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় জনতা আর পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, কানাডা-সহ একাধিক দেশ ট্রেভেল অ্যাডভাইজারি জারি করেছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও সংবেদনশীল। চলতি বছরের শেষেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই অবস্থায় সরকার বিরোধী দুই পক্ষই ঘর গোছাতে শুরু করেছে।

ইমরান খান গ্রেফতারি মামলা

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফকার করছে পাকিস্তানে সেনা বাহিনী। অভিযোগ করা হয়েছে পিটিআই সরকার সরকারের সম্পত্তি ও সম্পত্তি টাইকুনের মধ্যে সমঝোতার ফলে পাকিস্তানের কোষাগারে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে। এই মামলায় ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি পাকিস্তান প্রশাসনের স্ক্যানারের নিচে রয়েছে। আর রয়েছে পিটিআই-এর একাধিক নেতা।

পাকিস্তানে বিক্ষোভ

ইমরান খানের অনুগামীর সংখ্যা অসংখ্য। ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর অনুগামীরা পাকিস্তানের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ইমরান বলেছেন সব অভিযোগই রাজনৈতিক। আর সেই কারণে তাঁকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা তার বাসভবনেও বিক্ষোভ দেখিছে। কারণ ইমরানের বাসভবন বর্তমানে সেনা বাহিনীর দখলে। ইমরান খানের গ্রেফতারি নিয়ে নিরাপত্তা রক্ষাকারী ও পাকিস্তান পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে। ইমরান খান এখনও হেফাজতে রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে বহু বছরের জন্য কারাগারে বাস করতে হবে। যদিও ইমরানের সংর্থকরা জানিয়েছে, দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্যই এই পথে হাঁটছে পাক প্রশাসন। ইমরান খানের বিরুদ্ধে মানহানি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি - সহ যে মামলাগুলি রয়েছে সেগুলি সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত- দাবি সমর্থকদের।

প্রাক্তন পিটিআই-এর সমর্থকদের মতামত

প্রাক্তন পিটিআই সমর্থকদের মতে বর্তমানে দলটি একটি পারিবারিক দলে পরিণিত হয়ছে। ইমরান খানের বোন, শ্যালক -সহ স্ত্রীর আত্মীয়দের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে দলটি বর্তমানে জনগণ বা অনুগামীদের প্রত্যাশা পুরণ করতে ব্যর্থ। অন্যদিকে দলের ব্যর্থতার দায় অন্যদের ঘাড়ে চাপান হচ্ছে।

পাকিস্তানের প্রভাব

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারিতে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দেশের বিচারব্যবস্থা ও দুর্নীতির বরুদ্ধে যে লড়াই চলছে তার ওপর প্রভাব ফেলবে। পকিস্তানে একাধিক সেনা অভ্যুত্থানের ইতিহাস রয়েছে। যা অত্যান্ত মারাত্মক। তবে পাকিস্তানের প্রভাব পড়তে পারে ভরতে। বাড়তে পারে অভিবাসন। সেই কারণে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে ভারত সরকার। সীমান্ত কড়া নজরদারি চালান হচ্ছে।