- Home
- World News
- Pakistan News
- পাকিস্তানকে অথৈ জলে ফেলে 'লাপাতা' আসিম মুনির, ঘরেবাইরে কোনঠাসা পাক সেনাপ্রধান
পাকিস্তানকে অথৈ জলে ফেলে 'লাপাতা' আসিম মুনির, ঘরেবাইরে কোনঠাসা পাক সেনাপ্রধান
Asim Munir Pakistan army chief: আসিম মুনির- পাকিস্তানের বিতর্কিত সেনা প্রধান। সেনা প্রধান হওয়ার আগে তিনি সেনা সদর দফতরে মাস্টার জেনারেল ছিলেন।

আসিম মুনির
আসিম মুনির- পাকিস্তানের বিতর্কিত সেনা প্রধান। সেনা প্রধান হওয়ার আগে তিনি সেনা সদর দফতরে মাস্টার জেনারেল ছিলেন।
মুনিরের আইএসআই যোগ
১৯৮৬ সালে ২৩তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স ব্যাটেলিয়নে কমিশন পান আসিম, তিনি অফিসার্স ট্রেনিং স্কুল, মংলাতে ১৭তম ব্যাচে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আসিম লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন এবং তাকে আইএসআই-এর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন।
পহেলগাঁও হামলার চক্রী?
গত ২২ এপ্রিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কাশ্মীরের পহেলগাঁও বৈসরান উপত্যকায় হামলা চালায়। সেই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গি হামলার পর থেকেই গুঞ্জন, হামলার মূল চক্রী আসিম মুনির। আইএসআই সদর দফতরে হয়েছিল হামলার ছক।
ভারত বিরোধী আসিম মুনির
পাকিস্তানে ভারত বিরোধী হিসেবে পরিচিত আসিম মুনির। পহেলগাঁও হামলার আগেই তিনি ভারতী বিরোধী উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের গর্ভস্ত শিরা বলে উল্লেখ করেছিলেন। জিন্নার 'দ্বিজাতি তত্ত্ব'র কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
আপারেশন সিন্দুর
পাকিস্তানকে জঙ্গি হামলার জবাব দিতেই ভারতের অপারেশন সিন্দুর। পাকিস্তান আর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। নিকেশ করে প্রায় ১০০ জঙ্গিকে।
লাপাতা আসিম মুনির
ভারতের অপারেশন সিন্দুরের পরই লাপাতা আসিম মুনির। তাঁকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই অবস্থায় অনেকেই দাবি করেছে আসিম মুনির পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। কেউ আবার বলছে পাকিস্তান সরকার আটক করেছে তাঁকে। যদিও সরকারি পক্ষে আনুষ্ঠানিক কিছু জানান হয়নি।
আসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পাকিস্তানের একধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আসিম মুনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংঘাত শুরু করা আর ব্যক্তিগত লভের জম্য পাকিস্তানকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মুনিরের বিরুদ্ধে। যদি পাক প্রশাসন এই ব্যাপারে নীরব।
আসিম মুনির স্থানে
জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে আসিম মুনির স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে বলে খবর। যদিও এই বিষয়েও নীরব পকিস্তান।
আসিম মুনিরের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ
সামরিক ক্ষেত্রে যুক্ত আসিম মুনির। কিন্তু তিনি নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়েই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেন। যার কারণে পাকিস্তানে ইমরান অনুগামীদের চোখের কাঁটা তিনি। ইমরানের গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক দল পিটিআই-এর সদস্যদের ওপর অত্যাচার করার অভিযোগ রয়েছে।
নাগরিকদের ওপর অত্যাচার
৯ মে-এর দাঙ্গার পর, অসীম মুনির পাকিস্তান সেনাবাহিনী আইন এবং অফিসিয়াল সিক্রেট আইনের অধীনে সামরিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার শুরু করেন , এই পদক্ষেপের নিন্দা করে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি
আফগান শরণার্থী
অসীম মুনির অবৈধ আফগান শরণার্থীদের কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও তাদের বহিষ্কারের পক্ষে সমর্থন করার জন্য সমালোচিত হয়েছেন।
কাশ্মীর নিয়ে উস্কানি
২০২৫ সালের এপ্রিলে, অসীম মুনির কাশ্মীরকে পাকিস্তানের "গর্ভস্থ শিরা" হিসেবে বর্ণনা করেন এবং দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রতিধ্বনি করে মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পার্থক্যের উপর জোর দেন।
সামরিক অস্থিরতা
মুনিরের নেতৃত্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভেতরেই ভিন্নমতের মুখোমুখি হয়েছে , যার মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জোরপূর্বক অবসর এবং জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আহ্বান, যার আংশিক কারণ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) এর নিরাপত্তা এবং পরিচালনায় ব্যর্থতা।
আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনা
মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রো খান্না গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অসীম মুনিরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। মাইকেল কুগেলম্যানের মতো বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে মুনিরের বর্ধিত মেয়াদ গণতন্ত্রের মূল্যে অতিরিক্ত সামরিক শক্তিকে একীভূত করছে।
পাকিস্তানে কোনঠাসা
পাক সূত্রের খবর বর্তমানে পাকিস্তানেই রীতিমত কোনঠাসা আসিম মুনির। তিনি কোথায় রয়েছেন কেউ জানে না।

