সংক্ষিপ্ত

ইমরান খানকে নিয়ে ক্রমশই জল ঘোলা হচ্ছে পাকিস্তানের রাজনীতি। ইমরানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানের শত্রুরা। আর পাকিস্তানের ঘাড়ে দায় চাপাতে চাইছে। অভিযোগ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

 

ইমরান খানকে 'শত্রু দেশের সংস্থা' খুন করতে চাইছে। ইমরান খানের জীবনে হুমকির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। এখানেই শেষ করেননি তিনি। তারপর বলেন, 'ইমরান খানের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে প্রকৃত অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যাবে। আর পুরো দোষ গিয়ে পড়বে দেশের সেনা বাহিনীর ওপর। রেহাই পাবে না দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআ ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।'

পাকিস্তানের শত্রু দেশের কথা উত্থাপন করলেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ কিন্তু ইমরান খানের তীব্র সমালোচনা করেন এদিন। তিনি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ না করে বলেন, 'ওই লোকটি (ইমরান খান) এই দরিদ্র দেশ ও এই দেশের মানুষকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন , যেখান থেকে তিনি বেরিয়ে গেলে বা তাঁর কিছু হয়ে গেলে গোটে দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে। গোটা দেশে নৈরাজ্য তৈরি হবে।' তিনি আরও বলেন ইমরান তাংর দেশের মানুষের সঙ্গে অন্যায় করছেন।

সানাউল্লাহ বলেন, 'পাকিস্তানের প্রতিটি শত্রু দেশ ও শত্রু এজেন্সি তার (ইমরান খানের) জীবনের পিছনে পড়ে রয়েছে।' তবে পাকিস্তানের মন্ত্রী এত কথা বললেন কোন দেশ বা কোন সংস্থা ইমরান খানকে হত্যা করতে চায় তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি। তবে সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল ইমরান খানকে কারা হত্যা করতে চায়? তার উত্তরে সানাউল্লাহ বলেন, যারা পাকিস্তানের শত্রু- যারা পাকিস্তানের বিশৃঙ্খলা আর নৈরাজ্য চায় । তিনি আরও বলেন যারা পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায় তারাই ইমরানকে হত্যার পরিকল্পনা করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একটি হামলার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাঁর যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে পাকিস্তান বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ত। তিনি বলেন, ইমরানের কিছু হোক তা অবশ্য তিনি চান না। ইমরানের দীর্ঘ আয়ুরও কামনা করেন সাংবাদিকদের সামনে। তারপরই তিনি ইমরানের কিছু হলে দেশের সেনা বাহিনী, আইএসআই আর তাঁর আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকেই প্রথম আঙুল উঠত। তিনি বলেন ইমরানের মাধ্যমে তাঁদের টোপ করা হয়েছে। কারণ এই ঘটনার উৎস খোঁজা সম্ভব নয় প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। আর তাদের কাঠগ়ড়ায় দাঁড় করানো হবে।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ সম্প্রতি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তারপরই পারিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , দেশের সেনা প্রধান ও গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

লংমার্চের সময়ে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। এই ঘটনায় ডানপায়ে চোট পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দলের অভিযোগ ইমরানকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা করছে পারিস্তানের সরকার পক্ষ। যদিও সেই সময়ই পাকিস্তান সরকার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিতর্ক এখনও অব্যহত। কারণ ইমরানের জনসভাগুলিতে প্রবল ভিড় হচ্ছে। যা পাক সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।