সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর বিদায়ী সরকারকে অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য তিন দিন ও সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৯০ দিন সময় দিয়েছেন।
অস্থির পাকিস্তানের রাজনীতি ও আর্থিক সংকটের মধ্যে আবারও বড় পরিবর্তন। শেহবাজ শরিফ সরকার বুধবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করেছেন। তবে আসন্ন পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০২২ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলি জোট বেঁধে সরিয়ে দিয়েছিল ইমরান খানকে। তারপরই ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তোশাখানা মামলা। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে জেলে পাঠিয়েছে শেরিফ সরকার।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন
পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর বিদায়ী সরকারকে অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য তিন দিন ও সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৯০ দিন সময় দিয়েছেন। সেই হিসেবে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে আগামী বছর পর্যন্ত নির্বাচন তিনি পিছিয়ে দিতে পারেন বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের এই অরাজক অবস্থা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দেশটিকে সতর্ক করেছে। পাকিস্তানের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা।
Mysterious death: হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু, রহস্য ঘনীভূত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইমরান খান
ইমরান খানের তেহরিক -ই - ইনসাফ পার্টি ২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে সবথেকে বেশি আসনে জয়ী হয়েছিল। জয়ের মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ইনরান খান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। দেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের নাম প্রথম সারিতে রয়েছে, এখনও পর্যন্ত। তবে পাকিস্তানের একটি অংশ মনে করে ইমরানের জনপ্রিয়তা আর ক্ষমতাচ্যুত -এই দুইয়ের পিছনে রয়েছে দেশের সেনা বাহিনীর হাত। বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় তিনে জেলে রয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তিনি আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না।
যুদ্ধংদেহী কিম জং উন, সেনা বাহিনীর প্রধানকে সরিয়ে কড়া নির্দেশ উত্তর কোরিয়া সেনা বাহিনীকে
ফাঁস হওয়া মার্কিন রিপোর্ট
অন্যদিকে দ্যা ইন্টারসেপ্ট একটি রিপোর্ট ফাঁস করেছে। সেখানে বলা হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে পাকিস্তান নিজেকে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাড়িয়ে রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। উল্টে যুদ্ধ শুরুর সময় ইমরান খান রাশিয়া সফর করেন, দেখা করেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সেই কারণে ইমরান খানকে পাকস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল আমেরিক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০২২ সালে ৭ মার্চ পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খানের সঙ্গে ডোনাল্ড লু -সহ দুই মার্কিন বিদেশ দফতরের কর্মকর্তা বৈঠক করেন। তারপরের দিনই পাকিস্তান সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে আনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ১০ এপ্রিল ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের কর্মকর্তারা। তিনি আরও বলেছিলেন, অন্য প্রধানমন্ত্রী থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে।
প্রেমে বাধা ভিসা, অবৈধভাবে কাঁটাতার না পেরিয়ে ভার্চুয়ালি বিয়ে করলেন যোধপুরের বর আর করাচির কনে