সংক্ষিপ্ত

গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জনসভায় একটি কাগজ দেখিয়ে ইমরান খান বলেন, এটি সাইফার অর্থাৎ গোপন নথি যা কোডে লেখা রয়েছে।

 

তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের কুখ্যাত অ্যাটক জেলে বন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কর্তাদের জেরার মুখোমুখি হন। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা করলেও আসল বিষয়েই ইমরান খান তদন্তকারীদের পুরোপুরি বিভ্রান্ত করে দেন। পাকিস্তানের প্রশাসন সম্পর্কিত গোপন নথি নিয়ে কখনও তিনি বলেন, কোড তাঁর মনে নেই, কখনও আবার বলেন সেটি ছিল পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বৈঠকের খসড়া।

যাইহোক গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জনসভায় একটি কাগজ দেখিয়ে ইমরান খান বলেন, এটি সাইফার অর্থাৎ গোপন নথি যা কোডে লেখা রয়েছে। এটিতেই রয়েছে পাকিস্তানের মসনদ থেকে তাঁকে অপসারণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রমাণ। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার কয়েক দিন আগেই তিনি এই দাবি করেছিলেন। অ্যাটক জেলে সেই গোপন নথি বা বিদেশী চক্রান্তের বিষয় নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ও কাউন্টার টেরোরিজম উইং। এফআইএ-র আয়াজ খানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল অ্যাটক জেলের ডেপুটি সিপারিনটেনডেন্টের অফিসে ইমরান খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রেমে বাধা ভিসা, অবৈধভাবে কাঁটাতার না পেরিয়ে ভার্চুয়ালি বিয়ে করলেন যোধপুরের বর আর করাচির কনে

 

তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইমরান সাইফারটি হারিয়ে গেছে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন কোথায় রেখেছেন সেটি তাঁর মনে নেই। সাইফারের কোডও তিনি মনে রাখতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন। তারপরই তিনি বলেছেন, তিনি জনসভায় যে কাগজটি দেখিয়েছেন সেটি ছিল তাঁর মন্ত্রিসভার বৈঠকের খসড়া। কোনও সাইফার নয়।

Pakistan: কোন পথে পাকিস্তানের রাজনীতি? ইমরান জেলে যেতেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোটের পথে পাক সরকার

 

এরপরই তদন্তকারী সাইফার হারানো বা ভুলস্থানে রাখার ঘটনায় ইমরান খান ও তাঁর সহযোগিতা ইচ্ছকৃতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এমন অভিযোগ দায়ের করে। পিটিআইএর ভাইর চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও মামালা দায়ের করেছে।

সেলুলয়েডে সীমা-শচীনের প্রেম, বিতর্ক আর হুমকি উপেক্ষা করেই আনা হতে পারে পাকিস্তানি স্বামীকে

 

সাইফার বা গোপন নথির কথা বলে ইমরান খানের অভিযোগ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর সরকার ফেলে দিতে চাইছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সাইফারটিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের বিবরণ রয়েছে, যেখানে দভক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খান উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন মিডিয়া দ্যা ইন্টারসেন্টে আগেই এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। গত বছরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি তিন বছরের জন্য জেলে বন্দি রয়েছে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।