সংক্ষিপ্ত
সারা বিশ্ব জানে পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা আছে। এই এলাকায় সন্ত্রাসীদের ক্যাম্প হওয়া খুবই বিপজ্জনক।যদি সন্ত্রাসীরা এই স্পর্শকাতর এলাকায় হস্তক্ষেপ করে, তবে তা শুধু ভারত বা পাকিস্তানের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই বিপদের ঘণ্টা বাজতে চলেছে।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া নতুন কিছু নয়। তবে এবার ভারতের জন্য আরও একটি আতঙ্কের খবর সামনে আসছে সম্ভবত। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের পানো আকিল এলাকায় সন্ত্রাসীদের কিছু ছবি সামনে এসেছে। তাদের হাতে একে-৪৭-এর মতো অস্ত্র দেখা যাচ্ছে। পানো আকিল সেই একই এলাকা যেখানে বলা হয় পাকিস্তান এটম বোমা লুকিয়ে রেখেছে। বলা হচ্ছে, দিনভর এই এলাকায় গুলির প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিনের আলোয় সন্ত্রাসীরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিন্ধ প্রদেশের এই এলাকাটিকে নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্যানো আকিল ATOM BOMB লুকানোর দাবি করে আসছে
সারা বিশ্ব জানে পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা আছে। এই এলাকায় সন্ত্রাসীদের ক্যাম্প হওয়া খুবই বিপজ্জনক। নিরাপত্তার দিক থেকে, যদি সন্ত্রাসীরা এই স্পর্শকাতর এলাকায় হস্তক্ষেপ করে, তবে তা শুধু ভারত বা পাকিস্তানের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই বিপদের ঘণ্টা বাজতে চলেছে। পাকিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকেও সমালোচনা হয়েছে এবং এর কারণে পাকিস্তানের ঋণ পেতেও অসুবিধা হচ্ছে।
যদি মিডিয়া রিপোর্ট বিশ্বাস করা হয়, সিন্ধু প্রদেশের পানো আকিল ক্যান্টনমেন্টে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এখানে নিরাপত্তা ও আইনের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই। দিনের আলোতে অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে এবং দিনে কয়েকবার গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং লোকেরা ঘরে বসে আছে। লোকজন রাস্তায় বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণ দেখা যাচ্ছে।
পানো আকিল এলাকায় জঙ্গিদের রাজত্ব
পানো আকিল এলাকা সামাজিকভাবে অনগ্রসর এবং অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ, গবাদি পশু পালনের মতো কাজ করে। তবে গত কয়েক মাসে এ এলাকায় দলাদলি ও সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত মাসে দুই গ্রুপের সহিংস সংঘর্ষে প্রাণ হারায় দুজন। এখন এই এলাকায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই এলাকা সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রভাবে পরিণত হয়েছে।