সংক্ষিপ্ত
২০২২ সালের প্রবল বন্যার পর এমনিতেই চরম আর্থিক ক্ষতিতে ভুগছে গোটা দেশ, তার ওপর বাড়ছে শিক্ষিতের হার আর দেশ জুড়ে কমছে চাকরি।
২০২২ সালে আর্থিক সংকটের চরমতম রূপ দেখেছিল ভারতের প্রতিবেশী দেশ দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম হয়েছিল অগ্নিমূল্য, রাষ্ট্রনেতার ভবনে গেট পেরিয়ে ঢুকে ফ্রিজ খুলে খাবারদাবার লুঠ করছিলেন সাধারণ মানুষ। একই ছবির দিকে এগোচ্ছে ভারতের উত্তরের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার মতো ২০২৩ সালে এসে পাকিস্তানেও একই অনুপাতে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। শুধুমাত্র ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এই দেশের একটি ভয়াবহ সমস্যা নয়, দেশের মানুষ ক্রমেই বুঝতে পারছেন যে, এর চেয়ে আরও চরমতম বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁদের দোরগোড়ায়। সেই বিপদের নাম বেকারত্ব।
দেশ জুড়ে বাড়ছে শিক্ষিত তরুণ যুবদের সংখ্যা। সেই অনুপাতে ভয়ঙ্কর হারে কমে যাচ্ছে চাকরির সুযোগ। ২০২২ সালের প্রবল বন্যার পর এমনিতেই চরম আর্থিক ক্ষতিতে ভুগছে গোটা দেশ। সেই দারিদ্রতা কীভাবে মিটবে, তার হদিশ খুঁজে পাচ্ছে না দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। ভারতের সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা করতে চাইছেন তিনি। তার মধ্যে একের পর এক শিল্প ধসে পড়ছে সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে। শিল্প উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের অভাব দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মোবাইল অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট, দেশের বৃহত্তম উৎপাদন শিল্প টেক্সটাইল উৎপাদনও বন্ধ হতে থাকায় মানুষ কাজ পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ শুধুমাত্র বস্ত্র খাতে বেকারত্বের সম্মুখীন হচ্ছেন।
আর্থিক সংকটের জন্য দেশের বহু মানুষ সরকারি কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার হ্রাসকে দায়ী করছেন। বস্ত্রের রফতানির ঘাটতির কারণে এই প্রভূত ক্ষতি বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কোভিড মহামারীর পরে আর্থিক সমস্যার মোকাবিলা নীতি এবং সময়োপযোগী সংস্কারের অভাবের জন্যেও শেহবাজ শরীফের সরকারকে দায়ী করেছেন নাগরিকদের একাংশ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মন্দার কারণে দেশের যুবসমাজের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে। কাঁচামাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার, যার ফলে ডুবতে বসেছে একের পর এক শিল্প। উৎপাদন হ্রাসের কারণে চাকরি হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মাত্র ২ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে ইঞ্জিনিয়ারদের বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে প্রায় দ্বিগুণ হারে। প্রযুক্তিবিদ্যার শিক্ষাযোগ্যতা নিয়ে চাকরি না পাওয়া তরুণদের হার ১১ শতাংশ থেকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশে। দেশকে রক্ষা করার জন্য এখন বিশ্বের তাবড় দেশগুলির সহায়তা চাইছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশাল বড় মাপের নীতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। শেহবাজ শরীফের সরকার বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ মেনেই আগামী দিনে এগোবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন-
‘আমি এগুলো পছন্দ করি না’, মহিলা দর্শকের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ অরিজিৎ সিং, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও
Amit Shah in Rabindra Jayanti: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে অমিত শাহ, সঙ্গী সুকান্ত মুজমদার, শুভেন্দু অধিকারী
'পুলিশের গুলিতেই মারা গেছেন কালিয়াগঞ্জের মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ' চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল CID