সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘ ৬ বছরের প্রেম। তাও আবার অসম প্রেম। কেউ কাউকে সামনা সামনি দেখেননি। তারপরেও প্রেমের টানে পোল্যান্ড থেকে পাকিস্তানে এলেন বৃদ্ধা প্রেমিকা। বিয়ে করলেন তরুণ প্রেমিককে।
প্রেম বড় বালাই। মন শোনে না কারও কথা। আর সেই জন্য বৃদ্ধ বয়সেও সুদূর পোল্যান্ড থেকে মনের মানুষের জন্য ছুটে আসতে হয় পাকিস্তানে। ঠিক তেমনই হয়েছে। প্রেমের গল্প মনে হলেও এই ঘটনা কিন্তু ঘটেছে। আরও আবার রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানে। কারণ সেখানে এক পোলিশ মহিলা 'নিকা' করার জন্য চলে এসেছেন পাকিস্তান। আর এখানেই শেষ নয় তারা বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছে। তবে গল্পে কিন্তু এখনও অনেক মোড় রয়েছে।
পোল্যান্ডের মহিলার বয়স ৮৩। আর তাঁর প্রেমিকের বয়স ২৮। ৫৫ বছর ছোট-বড় তাঁরা। পাকিস্তানি তরুণ পেশায় গাড়ি মেরামতির কাজ করেন। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করেই পোল্যান্ডের মহিলা বিয়ে করেছেন তাঁকে। ব্রোমা নামেই পরিচিত পোলিশ মহিলা। তাঁর স্বামীর নাম মহম্মদ নাদিম, যিনি হাফিজাবাদের বাসিন্দা।
নাদিম পাকিস্তান ডেইলির সাংবাদিককে জানিয়েছেন আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগে কথা হয়েছিল ব্রোমার সঙ্গে। সেই থেকেই তাঁরা বন্ধু। ধীরে ধীরে তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়েন। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হল বিয়ে করার আগে তাঁরা একে অপরকে দেখেননি। শুধুমাত্র মনের টানেই তাঁরা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ।
ব্রোমা জানিয়েছেন তিনি পাকিস্তানি রীতি মেনেই বিয়ে করেছেন। তিনি লাল রঙের পাকিস্তানের পোশাক পরেই বিয়ে করেছিলেন। ব্রোমা আরও জানিয়েছেন নাদিমের বিয়ে প্রায় স্থির হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের রীতি অনুযায়ী এক খুড়তোত বোনের সঙ্গেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের প্রেম দেখে সেই বোন তাঁদের মাঝখান থেকে সরে যায়।
যাইহোক নাদিম-ব্রোমার প্রেম কাহিনিতে মশগুল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তান পোল্যান্ড ছাড়িয়ে তা ভারত বাংলাদেশ এমনকি আমেরিকাতেও পৌঁছে গেছে। নেটিজেনদের একাংশ তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। অন্য পক্ষ অবশ্যই নাক সিঁটকেছে- আর চোখ কুঁচকেছে।
যাইহোক এই প্রথম নয় । এর আগেও এজাতীয় অসম প্রেম আর পরিণিতর গল্প সামনে এসেছে। কিন্তু ব্রোমা তাদের মধ্যে অকদমই আলাদা। কারণ তিনি তাঁর প্রেমিককে না দেখেই পোল্যান্ড থেকে বৃদ্ধ বয়সে পাড়ী দিয়েছিলেন পাকিস্তানে।