পেহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ হিসেবে অপারেশন সিন্দুরের পর শিয়ালকোটে রহস্যময় আলোর ঝলকানি ও সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা দেখা গেছে, যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
পেহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ অপারেশন সিন্দুর। পাকিস্তানে হামলা ঠিক কিছু সময় আগেই পাকিস্তানের আকাশে জ্বলে উঠল দীপাবলীর মতো আলোর ঝলক। আকাশের ওটা কি? এটা বোঝার আগেই পাকিস্তানের প্রায় একশো কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ করে প্রতিশোধ নেয় I এই ঘটনা ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও পাকিস্তানে শোনা গেল কান ফাটানো সাইরেনে শব্দ। রাত ঠিক ১১ টা, পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ভিডিও, যা রীতিমতো ভাইরাল।
জায়গাটা শিয়ালকোট, এই এলাকার আকাশে স্পষ্ট শোনা গিয়েছে সাইরনের শব্দ। আর সেই সঙ্গে আকাশে তখন জ্বলজ্বল করছে আগুনের গোলার মত কিছু একটা জিনিস। এমন মুহূর্তে সাধারন মানুষ আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠেছে। সেই সঙ্গে এমন একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে তবে সেটা ঠিক কিসের শব্দ? সেটাও স্পষ্ট নয় কারও কাছে। সেই ভিডিও আপনারা দেখুন, তবে আগেই জানিয়ে রাখি যে, এই ভিডিওর সত্যতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যাচাই করেনি, দেখুন ভিডিওটি-
এই ভিডিও ঘিরে জল্পনা তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কি এটা আবার পাকিস্তানের উপর কোনও আঘাত? কে করছে? এর কোন জবাব জানা নেই। অনেকেই মনে করছেন তাহলে কী অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়নি? এখনো চলছে? তাই প্রথম এয়ার স্ট্রাইকের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আবার পাকিস্তানে সাইরেন বেজে উঠেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও ভারত বা পাকিস্তান কারও তরফে এই বিষয়ে কোনও কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিন্দুরেরও কিন্তু প্রথম লক্ষ্য ছিল শেয়ালকোটের জঙ্গি ঘাটি। তাই অপারেশন সিন্দুরের সময় সমস্ত এলাকার জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যাতে জঙ্গি সংগঠনগুলো ও মদতদাতা পাকিস্তানকে এক কড়া বার্তা দেওয়া যায়।
অপারেশন সিন্দুরে ভারত পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাস ঘাঁটি ধ্বংস করতে রাফাল জেট থেকে স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার নির্ভুল বোমা ব্যবহার করেছে। এই উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্রগুলি সন্ত্রাসের ঘাঁটিগুলিকে নির্ভুলভাবে তাক করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় মিসাইল পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে রয়েছে জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি বাহাওয়ালপুর এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি মুরিদকে। বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি ধ্বংস করাই ছিল লক্ষ্য।