পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের কঠোর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের পরিবারকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

পহেলগাম: পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের কঠোর পদক্ষেপে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির তার পরিবারকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও তাদের পরিবারকে ইউরোপ পাঠিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, আসিম মুনিরের উস্কানিতেই কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, যার মূল策划কারী বলে তাকেই মনে করা হচ্ছে।

১৯৭১ সালের পর বড় সংকটে পাকিস্তান

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তান এখন সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আসিম মুনির তার পদ বাঁচাতে একটি ছোট যুদ্ধ শুরু করতে চান, কিন্তু ভারতের কঠোর অবস্থানে ভীত। পাকিস্তান ক্রমাগত বিদেশী শক্তির কাছে সাহায্য চাইছে, যদিও তার সেনাবাহিনী ভারতের সাথে যুদ্ধ করার মেজাজে দেখা যাচ্ছে।

হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর কড়া বার্তা

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর ভারত আরব সাগরে শত্রুদের কড়া বার্তা দিয়ে ২৪ এপ্রিল ২০২৫ সালে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুরাট থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সমুদ্রে একটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে।

পাকিস্তান যখন আরব সাগরে গুলি চালানোর মহড়া শুরু করে, তখন ভারতীয় নৌবাহিনী জবাবে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে সমুদ্রে নামায়। আইএনএস বিক্রান্তে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান এবং আক্রমণকারী হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ২৫ এপ্রিল ২০২৫ সালে পহেলগাম হামলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শ্রীনগরে পৌঁছান, যেখানে সেনাবাহিনীর উত্তর কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এমভি সুচিন্দ্র কুমারও তাঁর সাথে ছিলেন।