Pahalgam Attack: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিধানসভা স্পিকার লস্কর-ই-তৈবার উপপ্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরীর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কাসুরী পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড।

Pahalgam Attack: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে বলেছেন যে এখন থেকে পাকিস্তান সরকার এবং সন্ত্রাসবাদীদের আলাদা করে দেখা হবে না। পাকিস্তান থেকে যে ধরনের খবর আসছে তাতে স্পষ্ট যে পাকিস্তান সরকার এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যেকার রেখা খুবই পাতলা হয়ে গেছে।

এমনই এক ঘটনায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিধানসভার স্পিকার মালিক আহমেদ খান সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় কথা বলেছেন। তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার উপপ্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরীর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। আহমেদ খান একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি লস্কর প্রধান হাফিজ সাইদের ছেলে তালহা সাইদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছিলেন।

পহেলগাম জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড সাইফুল্লাহ কাসুরী

কাসুরী পহেলগাম জঙ্গি হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। তার পক্ষে সাফাই গেয়ে আহমেদ খান বলেছেন যে, তদন্ত ছাড়া কাসুরীকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখা যাবে না। তিনি কাসুরীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সমাবেশটি ২৮ মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সমাবেশের ভিডিও ফুটেজে কাসুরীকে আমেরিকান এম৪ কার্বাইন নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি দলের সঙ্গে আসতে দেখা গেছে। তাকে ভারতের "বিজয়ী" বলা হয়েছে। তার উপর ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জনতাকে সম্বোধন করে লস্করের সন্ত্রাসবাদীরা পূর্ব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তাদের জড়িত থাকার কথা বলেছে। গত বছর তীব্র বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। কাসুরী এবং মুজাম্মিল হাশেমি (যাদের আমেরিকা সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে) বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তাদের ভূমিকার কৃতিত্ব দাবি করেছে।

২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলা

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালিয়েছিল। এতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ৬-৭ মে রাতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে এর প্রতিশোধ নেয়। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। এরপর ১০ মে পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ চলে।