সংক্ষিপ্ত
দেশে খাওয়ার জন্য হাহাকার, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী অস্ত্র ক্রয়ে ব্যস্ত। এই তালিকায় রয়েছে যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ড্রোন।
Pakistan Economy: পাকিস্তান ঋণের বোঝায় ভারাক্রান্ত হলেও অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। পাকিস্তানের সরকার চালানোর জন্য টাকা নেই অথচ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ কোনও না কোনওভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রার সাহায্যে পাকিস্তানের দিন চলছে। দেশে খাওয়ার জন্য হাহাকার, কিন্তু আজকাল পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী অস্ত্র ক্রয়ে ব্যস্ত। এই তালিকায় রয়েছে যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ড্রোন। পাকিস্তানের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করছে চিন ও তুরস্ক। অন্যদিকে আমেরিকা পাকিস্তানকে দেওয়া F-16 বিমান আপগ্রেড করছে।
২০১৫ সালে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় চায়না শিপবিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড পাকিস্তানের জন্য সাবমেরিন নির্মাণ করছে। সম্প্রতি, চিনের উহান শহরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হ্যাঙ্গর শ্রেণীর প্রথম সাবমেরিনটি চালু করা হয়েছিল, যাতে চিন ও পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। এই চুক্তির আওতায় চিন পাকিস্তানের জন্য হ্যাঙ্গর শ্রেণীর আটটি সাবমেরিন তৈরি করবে, যার মধ্যে চারটি সাবমেরিন চিনে এবং চারটি পাকিস্তানে তৈরি হবে।
বিদেশী ঋণের নিচে চাপা পড়ে পাকিস্তান
এদিকে, বড় প্রশ্ন উঠছে ১২৪.৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান কীভাবে অস্ত্র কিনছে, যেখানে ১২৪.৫ বিলিয়ন ডলারের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির ৪২ শতাংশ। প্রশ্ন উঠছে, ৪-৫ বিলিয়ন রুপি মূল্যের আটটি সাবমেরিন প্রকল্পের খরচ দেবে পাকিস্তান কীভাবে? বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিশাল হ্রাস সত্ত্বেও, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী প্রতিরক্ষা বাজেটের জন্য ১৮০৪ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করেছেন, এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৫.৪ শতাংশেরও বেশি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সম্পদ তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে-
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে পাকিস্তানের আসল ক্ষমতা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর সম্পদ তৈরির বিশাল ব্যবস্থা রয়েছে, কারণ সেনাবাহিনীর বৈধ এবং অবৈধ কারখানা রয়েছে। অনেক ব্যবসা কেন্দ্র পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন এবং সমস্ত অর্থ সেনাবাহিনীর কোষাগারে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট কমাতে পারছে না সরকার। বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, পাকিস্তান সবসময় ভারতের কথা মাথায় রেখেই বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনে।