সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতোই সামাজিক ও আর্থিক অবস্থাও খুবই খারাপ। সারা দেশেই অরাজকতা তৈরি হয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
এ মাসের শুরুতে বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা এবার ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে। পাকিস্তানের অনেক শহরেই হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে বিক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আইন অমান্যের ডাক দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের বিল জমা না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছেন পাকিস্তানের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকর। তিনি জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। জানানো হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান সরকার। তবে সেটা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি চরমে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে একইসঙ্গে নানা শর্তও দিয়েছে আইএমএফ। এর ফলে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এরই সঙ্গে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। সেই কারণেই পাকিস্তানের সর্বত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। সেখানকার মানুষের অভিযোগ, তাঁদের অঞ্চলেই ৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের রেহাই মিলছে না। অনবরত লোডশেডিং হয়ে চলেছে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুতের বিল বেড়েই চলেছে।
৩ আগস্ট পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বিদ্যুৎ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে । করাচি, খাইবার পাখতুনখোয়া-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ চলছে। পাকিস্তানের মানুষের অভিযোগ, বিদ্যুতের বিল জমা দিতে গিয়ে মাসিক আয়ের ২০ থেকে ৫০ শতাংশ অর্থ খরচ হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, করাচির মানুষ অভিযোগ করছেন, তাঁদের মাসিক আয়ের চেয়ে বিদ্যুতের বিল বেশি। পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডির মতো শহরগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। প্রতিদিন বিক্ষোভ বাড়ছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, তাঁরা আর নীরবে অন্যায় সহ্য করবেন না। পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডিতে বিদ্যুতের বিল পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করছে। গুজরানওয়ালায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা দফতর ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। সর্বত্র বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হঠাৎ বিদ্যুতের বিল এত বেড়ে যাওয়ায় সবাই সমস্যায় পড়েছেন। পাকিস্তানি মুদ্রায় ১৪, ১৫ হাজার টাকাও বিল পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের পক্ষে এই বিল দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-
China Artificial Sun: পৃথিবীতে 'নকল সূর্য' তৈরি করেছে চিন, কোন নতুন প্ল্যান করতে চলেছে ড্রাগনের দেশ
জেলে বসেই বলেই ষড়যন্ত্রের গোপন নথি মামলায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে দিলেন ইমরান খান
UPI Paymant : ভারতের ইউপিআই সিস্টেম দেখে মুগ্ধ জার্মানির মন্ত্রী, দেখুন ভিডিও