পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের প্রথম সারির নেতা আবদুল আজিজের মৃতদেহ উদ্ধার। ভারতকে হুমকির পর এই ঘটনা ঘটায় রহস্য ঘনীভূত।
ফের খবরে পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর। যে এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জইশ এ মহম্মদের হেডকোয়ার্টার আছে। সেখানে বাস করে তাবড় তাবড় জঙ্গি। এবার সেই ভাওয়ালপুর থেকেই উদ্ধার হল প্রথম সারির জঙ্গি নেতার দেহ। রহস্যজনক ভাবে প্রয়াত হন জইশের প্রথম সারির সঙ্গি নেতা আবদুল আজিজ। কে বা কারা তাকে হত্যা করল নাকি নিজেদের অন্তদ্বন্দ্বের কারণে সে প্রয়াত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
সদ্য প্রথম সারির জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মৌলনা আবদুল আজিজের দেহ মিলল পাকিস্তানে। ভারতকে হুমকি দেওয়ার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই মৌলানা আবদুল আজিজের দেহ উদ্ধার হল। মৌলনা আবদুল আজিজের দেহ উদ্ধার হল সেই পাকিস্তানেই। পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর থেকে উদ্ধার হল দেহ। কে বা কারা মৌলনা আবদুল আজিজকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
মৌলনা আবদুল আজিজ যেভাবে ভারতকে হুমকি দিয়েছিল, সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। পাকিস্তানে দাঁড়িয়ে প্রথম সারির এই জইশ নেতাকে বলতে শোনা যায়, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গিয়েছে, আমেরিকার শক্তি ক্ষয় হয়েছে। এবার হিন্দুস্থানের পালা।
জানা গিয়েছে, মৌলনা আবদুল আজিজের মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। জইশের সদর দফতর অর্থাৎ ভাওয়ালপুরের মারকাজেই তার শেষকৃত্য হয়। মারকাজ-এই অপারেশন সিঁদুর করেছিল ভারত। মারকাজে জইশ-ই-মহম্মদের আস্তানা। যা ভারত গুঁড়িয়ে দেয়।
রিপোর্ট বলছে, টেলিগ্রামে, জইশ ক্যাডারের তরফে একটি বার্তা পাঠানো হয় আজিজের মৃত্যু নিয়ে। জানানো হয়, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। তবে, পাকিস্তানি পুলিশের তরফে এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, ভারতের থেকে কাশ্মির ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল এই জইশ কমান্ডার। কিছুদিন আগেই লস্করের এক জঙ্গি রাজাউল্লাহ নিজামানি থালিকদও পাকিস্তানের বুকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের হাতে নিহত হয়। গত ১৭ মে সে সিন্ধ প্রভিন্সে মারা যায়। তার এক মাসের মধ্যে প্রয়াত হল আরও এক জঙ্গি।


