পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পহেলগাঁও হামলার পর, বালোচিস্তানে দুটি পৃথক হামলায় ১৪ জন পাক সেনা নিহত হয়েছেন। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উপর আরও আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পহেলগাঁও হামলার ‘বদলা’ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও জঙ্গিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই , বালোচিস্তানে দু’টি পৃথক হামলার ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাক সেনার উপর এ বার জোড়া হামলা চালাল বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ইতিমধ্যে সেই ভিডিয়োও প্রকাশ্য এসেছে, তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
বুধবার সকালে প্রথম হামলা হয় বালোচিস্তানের বোলানে। আর দ্বিতীয় হামলা হয় দুপুরে কেচের কুলাগ তিগরানে। দুটি হামলাতেই পাক সেনার কনভয়ে আইইডি হামলা চালায় বিএলএ-র স্পেশাল ট্যাকটিকাল অপারেশন্স স্কোয়াড (STOS)। সরকারি সূত্রে খবর, ওই বিস্ফোরণে ১২ জন পাক সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তিগরানের বিস্ফোরণে দুই পাক সেনা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন স্পেশাল অপারেশন কমান্ডার তারিক ইমরান এবং সুবেদার উমর ফারুক-সহ আরও।
এই দু’টি হামলারই দায় স্বীকার করেছেন বালোচ বিদ্রোহীরা। বালোচ লিবারেশনের মুখপাত্র জিয়ান্দ বালোচ বলেন, ‘‘পাক সেনা তাঁদের জমি দখলের চেষ্টা করছে। তাই আগামী দিনে এই ভাড়াটে সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ তীব্রতর করবেন বালোচ ভূমির ‘মুক্তিযোদ্ধা’রা।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "যাঁরা ববালোচ লিবারেশন আর্মিকে বিদেশি মদতপুষ্ট বলে অভিহিত করেন, তাঁদের জানা উচিত যে, পাকিস্তানের সেনা চিনা মদতপুষ্ট সশস্ত্র ভাড়াটে দল।’’
প্রসঙ্গত, কোয়েটার অদূরে মার্গেটে পাক সেনার কনভয়ে দিন কয়েক আগেই হামলা চালিয়েছিল বিএলএ। এই হামলায় ১০ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।