সংক্ষিপ্ত
- পাকিস্তানে ২ হিন্দু বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু
- ২ জনে সম্পর্কে জা হন
- একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান
- একজেনর ১টি পুত্র সন্তানও রয়েছে
পাকিস্তানে আত্মহত্যা করলেন ২ হিন্দু গৃহবধূ, সম্পর্কে যারা একে অপরের জা হন। ঘটনাস্থল পাকিস্তানের অন্তর্গত থর মুরভূমির দক্ষিণ ভাগ।। ইসলামকোট শহরের কাছে খেরি গ্রামে এক ব্যক্তির অধীনে ভাগ চাষি হিসাবে কাজ করতেন নাথু বাই ও বীরু বাইয়ের স্বামীরা। পরিবারের দুই ভাইকে বিয়ে করেছিলেন নাথু ও ভীরু।
আরও পড়ুন: এবার কংগ্রেস মুক্ত হল নেহেরু মিউজিয়াম, করা হচ্ছে পুনর্গঠন, যুক্তি দেখাল মোদী সরকার
দুই জায়ের একসঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। কেনি দুই বধূ আত্মহত্যা করল তার কারণ এখনও জানা যায়নি। এদিকে এলাকায় আগেও বেশকিছু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ছবি তুলতে গেলে ফেলতে হবে কড়ি, গোয়ার গ্রামে চালু হল নতুন নিয়ম
আত্মহত্যার কারণ জানতে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকরা। এলাকায় চাষের মরশুম চলছে। অভাবের কারণে আত্মহত্যার তত্ত্ব প্রাথমিক ভাবে মানতে রাজি নন পুলিশ কর্তারা। বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে আঙুল দেখিয়ে খুইয়েছিলেন চাকরি, সেই মেয়েই জিতলেন মার্কিন নির্বাচন
মৃতদের মধ্যে একজনের একটি শিশুপুত্রও রয়েছে। নাথু এবং ভীরু দুজনের বয়সই কুড়ির কোঠায়। খেরি গ্রামের দুই ভাই চমন কোহলি ও পহেলাজ কোহলির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। বীরুর সন্তানের বয়স মাত্র এক বছর। চাষের কাজ করতে বেশ কয়েকমাস ধরে দুজনের স্বামীই বাড়ির বাইরে ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন দেহদুটিতে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
আত্মহত্যার কারণ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না কোহলি পরিবার। তবে সংসারে কোনও ঝামেলা ছিল না বলেই দাবি আত্মীয়দের। চলতি বছরে থর এলাকায় এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৫৯ জন। এদের মধ্যে ৩৮ জন মহিলা, রয়েছে দুটি শিশুও। ২০১৮ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১৯৮। একদিকে দারিদ্র ও অন্যদিকে কয়লাখনি কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়াই একের পর এক আত্মহত্যার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন স্থানীয়রা। এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই নিম্নবিত্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের।