সংক্ষিপ্ত
- বৃহস্পতিবার দুদিনের জন্য ফ্রান্স সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
- দেখা করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাঁকরের সঙ্গে
- যোগ দেবেন একাধিক দিপাক্ষিক আলোচনায়
- প্রসঙ্গত'কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয়', বলে বিবৃতি দিয়েছে ফ্রান্স
বৃহস্পতিবার দুদিনের জন্য ফ্রান্স সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্সের মাটিতে পা রেখেই প্রথম দেখা করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাঁকরের সঙ্গে। এদিন নরেন্দ্র মোদীর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজনও করার কথা রয়েছে মাঁকরের।
সেখানে পৌঁছে দ্বিতীয় দিনে দেখা করবেন এডুয়ার্ড চার্লস ফিলিপেরর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে এবং ১৯৬৬ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় যে ভারতীয়রা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশেও একটি স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সফর মূলত দুই দেশের প্রতিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন, নৌ-সহযোগীতা, পরমাণু শক্তি-ক্ষেত্রে কৌশলগত দিক দিয়ে সম্পর্ক সুদৃঢ় করাই মূল লক্ষ্য।
মোদীর এই ফ্রান্স সফর নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক টি এস তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা-ক্ষেত্রে বোঝাপড়া সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর জোর দিতে এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি এবং দুই দেশের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার স্থির করার বিষয়টিও দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট, সাইবার, তথ্যপ্রযুক্তি ও মহাকাশ বিদ্যা- বিষয়েও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে যেভাবে নিজের পাল্লা ভারি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান তাতে একের পর এক ধাক্কাই পেয়ে আসছে ইমরান খান সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর সফরের ঠিক আগেই ফ্রান্সের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল যে, কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পথে এগোক পাকিস্তান। এদিন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশিকে ফোন করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে ফ্রান্স। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পাকিস্তানকে আরও বার্তা দেওয়া হয় যে, উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন পদক্ষেপ না নেওয়াটা খুবই জরুরী।