সংক্ষিপ্ত
বন্ধ থাকা দুটি ভারতীয় কনস্যুলেটে তল্লাশি চালাল তালিবানরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুরে ঘুরে খতিয়ে দেখে কনস্যুলেটে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথি।
সাংবাদিক সম্মেনলন করে শান্তির কথা বললেও তারা যে সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করছে তা আরও একবার প্রামণ হল। সূত্রের খবর তালিবানরা কান্দাহারে বন্ধ থাকা ভারতীয় কনস্যুলেটে ঢুকেছে। খতিয়ে দেখেছে একাধিক নথি। গোটা কনস্যুলেটই ঘুরে দেখেছে তালিবানরা। একটি গাড়িও কেড়ে নিয়েছে। যা আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তাকে আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তালিবানরা ভারতীয় কূটনৈতিকদের আফগানিস্তানে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ভারতীয় কূটনৈতির আর ভারতীয় মিশনের কর্মীদের থেকে যাওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছে।
'সন্ত্রাসরাজ সাময়িক আধিপত্য কায়েম করতে পারে', সোমনাথের অনুষ্ঠানে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
কাঁটাপথে চিনের অর্থনৈতিক সম্পদ বাড়ছে দ্রুত গতিতে, বেজিং কি পারবে তা ধরে রাখতে
সূত্রের খবর বুধবার কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় কনস্যুলেট পরিদর্শন করে তালিবানদের একটি দল। একাধিক কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তারা। সূত্রটি জানাচ্ছে তালিবানরা বন্ধ থাকা শৌচাগার তল্লাশি করতেও পিছপা হয়নি। দুটি কনস্যুলেটে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি তালিবানরা নিয়ে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন সূত্রটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন তালিবানরা এজাতীয় কাজকরবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কনস্যুলেটগুলি তালিবানদের প্রথম লক্ষ্য হবে বলেও আশা করা হয়েছিল।
আফগান সেনা থেকে জঙ্গি নেতা, সাত তালিবান নেতার অন্যতম স্টানিকজাইয়ের ভারতীয় যোগ
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভারতের একটি দূতাবাস রয়েছে। এছাড়াই আফগানিস্তানে ভারতের কনস্যুলেট রয়েছে- কান্দাহার, হেরাত, মাজার-ই-শরীফে। মাজার-ই-শরীফের কনস্যুলেটটি আগেই তালিবানরা দখল করে নিয়েছিল। এবার কান্দাহার আর হেরাতের কনস্যুলেটের দিকেও নজর দিয়েছে। কাবুলের দূতাবাস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র ভারতীয়দের সাহায্য করার জন্য সেটি চালু রয়েছে। দূতাবাসের একাধিক কর্মীদেরও ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তালিবানরা কাবুলের দখল নেওয়ার পরেই গোটা আফগানিস্তান জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে। সূত্রের খবর, আশরাফ ঘানি সরকারের কর্মী, সেনা বাহিনীর সদস্য আর সরকারি আধিকারিকদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। আফগান গোয়েন্দাবিভাগের কর্মীদেরও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর হয়ে যেসব আফগানরা কাজ করত তাদেরও চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের গোয়েন্দা রিপোর্টে তেমনই আশঙ্কা করা হয়েছে।