সংক্ষিপ্ত

জাবিউল্লাহ জানিয়েছেন পূর্ববর্তী সররাকের জারি করা সমস্ত নথিপত্র ও দলিল দস্তাবেজ এখনও আফগানিস্তানে বৈধ। কোনও কিছুই বাতিল করা হবে না।

তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তানের (Afghanistan) বাসিন্দাদের পাসপোর্ট (Passport) আর জাতীয় পচিরয় পত্র (National Identity Card) বা এনআইডিতে (NID) একটি বড় বদল আনতে চলেছে। তালিবানরা জানিয়ে দিয়েছে, পাসপোর্ট আর জাতীয় পরিচয়পত্রে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত লেখা থাকা বাধ্যতামূলক। আফগানিস্তানের তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্র তথা তালিবানদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ইতলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান লেখা না থাকলে তা বেআইনি বলে গণ্য হবে। তবে আগের সরকারের জারি করা জাতীয় পরিচয় পত্র এ পাসপোর্ট আপাতত বৈধ বলে গন্য করা হবে বলেও জানান হয়েছে। 

জাবিউল্লাহ জানিয়েছেন পূর্ববর্তী সররাকের জারি করা সমস্ত নথিপত্র ও দলিল দস্তাবেজ এখনও আফগানিস্তানে বৈধ। কোনও কিছুই বাতিল করা হবে না। তবে ধীরে ধীরে রদবদলের কাজ যে চলবে তাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আফগানিস্তানে এখনও পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের অফিসগুলি বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র অফিসের কর্মীরা যারা বায়োমেট্রিক সিস্টেমের অংশ তারাই পাসপোর্ট পেতে পারেন। কিন্তু এখনও কোনও সাধারণ নাগরিকদের পাসপোপ্ট দেওয়া হচ্ছে না। 

আলাপ করুন স্নেহা দুবের সঙ্গে, রাষ্ট্রসংঘে মহিলা আধিকারিক এক হাত নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে

Covid 19: একদমই অন্যমুডে রাশিয়ান প্রধান পুতিন, মাছ ধরে আইসোলেশনের দিন কাটালেন তিনি

Cyclonic Storm Gulab: ঘূর্ণিঝড় গুলাব মোকাবিলায় প্রস্তুত নৌবাহিনী, মেতায়েন জাহাজ আর বিমান

তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ক্রমশই কড়া হচ্ছে তাদের দখলদারি। ধীরে ধীরে প্রশাসনের ওপর জোর খাটাতেও শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষমতা দখলের পরপরই মহিলা বিবর্জিত মন্ত্রিসভা তৈরি করে তালিবানরা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা ১৯৯৬ -২০০১ সালের ভয়ঙ্কর দিনগুলি আফগানিস্তানে ফিরিয়ে আনবে।এবার ধীরে ধীরে হলেও সেই পথেই হাঁটা শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত স্কুলে ছাত্রীদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আপাতত বন্ধ রয়েছে কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়। তালিবানরা জানিয়েছে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু আর্থিক সংকটে ভোগা দেশটির কাছে তা কতটা বাস্তব তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায়, শনিবার হেরাটে অপহরণের অভিযোগে তার ব্যক্তির গুলিতে ঝাঁঝরা করা দেহ ক্রেনে করে গোটা শহরে ঘোরানো হয়েছে। তালিবানদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এজাতীয় অপরাধ আর যাতে কেউ না করে তার জন্যই এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে তালিবান মন্ত্রীরা অবশ্য মৃত্যুদণ্ড, হাত-পা দেটে বাদ দেওয়ার মত মধ্যযুগীয় বর্বর শাস্তির পক্ষেই সওয়াল করে আসছেন। যা আফগানবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।