সংক্ষিপ্ত

  • জেলেই যেতে  হচ্ছে জ্যাকব জুমাকে 
  • ১৫ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ 
  • আদালত অবমাননার দায়ে জেল
  • ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার 

আদালত অবমাননার দায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে এবার জেলে যেতে হবে। দেশের শীর্ষ আদালত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সিসি খামপ্পে বলেছেন. 'জুমা আদালত অবমাননার দায়ে দোষী। সাংবিধানিক আদালত এই সিদ্ধান্ত ব্যতীত আর কিছুই করতে পারে না। ' বিচারপতি আরও বলেছেন এই ঘটনার পুনর্বিবেচনার আবেদন আইন অনুযায়ী বৈধ হবে না। শাস্তি দিতেই হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেছেন আইনের শাসন বজায় রাখতে গেলে জুমাকে কারাগারে বন্দি করা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় তাঁর সামনে নেই। 

ভারতের নজরে দোপসাং, হটস্প্রিং -গোগরা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা চায় ভারতীয় সেনা

দেশের শীর্ষ আদালত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পনের জন্য আগামী পাঁচ দিন সময় দিয়েছে। আর তার যদি অন্যথা হয় তাহলে দেশের আইন মন্ত্রীকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে। জুমাকে গ্রেফতারের জন্য আদেশ জারি করতে হবে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও জ্যাকব জুমাকে তলব করা হলেও তিনি তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি। যা আদালত অবমাননা সামিল বলেই মনে করছেন দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা। 

গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড টিকার গাইডলাইন, জেনে নিন কীভাবে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন

৭৯ বছরের জ্যাকব জুমা দীর্ঘ ৯ বছর দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে পদচ্যূত হন। 'স্ট্যেট ক্যাপচার' নামে একটি দুর্ণীতির তদন্ত হচ্ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি রেমন্ড জন্ডো।  তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক দুর্ণীতির তদন্তের জন্য জুমাই তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিলেন।  ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশানাল কংগ্রেস তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা কিছু আগেই মাউন্ট কেলেঙ্কারির চাপে জুমা নিয়েই তদন্ত কমিটি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু একাধিকবার সেই কমিটির তলব উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

টাকা দিয়ে 'ফ্রি টিকা' শিলিগুড়িতে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

২০১৯ সালে একবার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বেশ কয়েকবার তদন্তকমিটির সামনে তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করেছিলেন। চিকিৎসা, অন্য দুর্ণীতির মামলার বিচারের প্রস্তুতি কারণ দেখিয়ে হাজির হননি তদন্ত কমিটির সামনে। নভেম্বরে হাজির হলেও জিজ্ঞাসাবাদের আগেই সেখান থেকে চলে যান। তারপরই জন্ডো বিষয়টিতে সাংবিধানিক আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে বলেছিলেন। 

এটি ছাড়াও জুমার বিরুদ্ধে আরও ১৬টি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ইউরোপীয় সংস্থাগুলির থেকে ১৯৯৯ সালে যুদ্ধ বিমান, টহলদারী নৌকা, সামরিক অস্ত্র কেনা জালিয়াতি। যেখানে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। ফরাসি প্রতিরক্ষা সংস্থার থেকে ঘুস নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।