সংক্ষিপ্ত
- ওসামা বিন লাদেন-পুত্র হামজা নিহত
- মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- এর আগে তার মৃত্যুর খবর নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল
- এদিন সেই খবর নিশ্চিত করে জানাল মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব
জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা-প্রধান ওসামা বিন লাদেন পুত্র হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল আমেরিকা। এদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার সাফ জানিয়ে দিলেনন, আল কায়দা-র প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন মারা গিয়েছে।
একটি সংবাদমাধ্যমকে এদিন হামজার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তিনি। এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে, হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুতে আমেরিকার কোনও ভুমিকা রয়েছে কি না। তার উত্তরে প্রতিরক্ষা সচিব জানান, এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই এবং থাকলেও তার কতখানি তিনি জানাবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন।
মহারাষ্ট্রে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃ্ত অন্তত ২, চলছে উদ্ধারকাজ
প্রসঙ্গত চলতি মাসের শুরুতেই হামজার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের তরফে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল আমেরিকার তরফে। সেবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি।
দু'বছর আগে ৩০বছর বয়সী হামজাকে সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, হামজার হদিশ দিতে পারলে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হবে। এরই চার মাসের মধ্যেই হামজার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
'আক্ষরিক অর্থে আমাদের ঘর পুড়ছে' আমাজনে দহন-কে আন্তর্জাতিক সঙ্কট বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
এর আগে জঙ্গি গোষ্ঠী আলকায়দার তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল হামজার সর্বশেষ ভাষণ। যেখানে দেখা গিয়েছিল, আরব উপদ্বীপের বাসিন্দাদের বিদ্রোহের আহ্বান জানাচ্ছে সে। জানা যায়, ওই বছরই সৌদি আরব তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দিয়েছিল। তার সেই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছিল, সৌদি আরবকেও হুমকীর বার্তা দিয়েছিল নবীন এই আলকায়দা নেতা।
শারিরীক অবস্থার আরও অবণতি অরুণ জেটলির, জানাল এইমস
শুধু তাই নয়, আল কায়দার একাধিক ভিডিও ফুটেজে ওসামা বিন লাদেনের পাশে হামজার উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার হামলার সময়ে বাবা ওয়ামা বিন লাদেনের পাশে ছিল। সেই হামলার দায়ও শিকার কের নিয়েছিল আল কায়দা।