সংক্ষিপ্ত

মার্কিন ও ন্যাটো কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে, যতক্ষণ না সব শহর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আত্মসমর্পণ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়া বোমা বর্ষণ জারি রাখবে। এরইমাঝে যুদ্ধে থামাতে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী দিমিত্র কুলিবাকে


ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার(Russia's invasion of Ukraine) পর ১০ দিন হয়ে গিয়েছে। দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। তা সত্ত্বেও ইউক্রেনের অনেক শহর এখনও রুশ সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখন মার্কিন ও ন্যাটো কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে, যতক্ষণ না সব শহর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আত্মসমর্পণ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়া বোমা বর্ষণ জারি রাখবে। এরইমাঝে যুদ্ধে থামাতে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী দিমিত্র কুলিবাকে(Ukraine Foreign Minister Dmytro Kuleba)। সেই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারত নিয়েও। এদিন তিনি বলেন, “ভারত ইউক্রেনীয় কৃষি পণ্যের অন্যতম বৃহৎ গ্রাহক। এই যুদ্ধ চলতে থাকলে আমাদের জন্য নতুন ফসলের বীজ বপন করা কঠিন হবে। সুতরাং, বৈশ্বিক এবং ভারতীয় খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এই যুদ্ধ বন্ধ করা সবার আগে দরকার।”

সম্প্রতি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কিছু ভারতীয় ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেছিল পুতিনের সরকার।এই প্রসঙ্গে রাশিয়ান প্রশাসনের উপর তোপ দেগে ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিদেশী ছাত্রদের অপহরণ করে রাখার, তাদের অধিকার লঙ্ঘন করার, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ এনে এই দেশগুলির সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করছে। কিন্তু আপনারা মনে রাখবেন ৩০ বছর ধরে ইউক্রেন আপনার ছাত্রদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসাবে থেকেছে। আগামীতেও থাকবে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, যদি রাশিয়া বিদেশী ছাত্রদের ইস্যুতে ভুল তথ্য প্রচার করা করা বন্ধ করে, যুদ্ধ বন্ধ করে, তবে সমস্ত ছাত্রদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমি ভারত, চিন এবং নাইজেরিয়া সরকারকে আহ্বান জানাই, রাশিয়ার কাছে যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং সমস্ত অসামরিক নাগরিকদের চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করতে।”

আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা

আরও পড়ুন- “উনি নামেই যোগী, কিন্তু কর্মে ভোগী”, অখিলেশের প্রচারে ফের ঝড় তুলে বিজেপি তীব্র আক্রমণ মমতার

আরও পড়ুন- নির্দলের বিজয় মিছিলে তৃণমূলের হামলা, পাল্টা নির্দলীদের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের

তিনি আরও বলেন, “৩০ বছর ধরে ইউক্রেন আফ্রিকা, এশিয়া থেকে হাজার হাজার ছাত্রদের জন্য একটি নিরাপদ বাড়ির মতো জায়গা দিয়েছে।তাদের চলাচলের সুবিধার্থে, ইউক্রেন ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে, হটলাইন স্থাপন করেছে, দূতাবাসের সাথে কাজ করেছে। ইউক্রেন সরকার তার সেরা কাজ করছে।” একইসঙ্গে যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিন সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “পুতিন, ইউক্রেনকে একা ছেড়ে দিন। এই যুদ্ধে তুমি জিতবে না। রাশিয়ানদের জীবন বাঁচানোর এবং এই রক্তস্নাত যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে। ইতিমধ্যেই ১১৩টি কোম্পানি যারা রাশিয়ার সাথে কাজ করত তারা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি তাদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।” এদিকে শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে সাময়িক সংঘর্ষবিরতির পর ফের রাশিয়া মারিউপোল এবং ভলনোভাখায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। যাতে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।