সংক্ষিপ্ত
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল গুপ্তচর আইন লঙ্ঘন করা। যার মধ্যেই রয়েছে জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য বেআইনিভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়া, তদন্তে বাধা দেওয়ার, রেকর্ড গোপন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধ দায়ের করা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরে গোপন নথি সরিয়ে ফেলেছেন,এমনই অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী জানিয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নথি চুরির পাশাপাশি, তাঁর ফ্লোরিডার বাড়িতে ফাইল রাখার তদন্তে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এই দুটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর জেল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও লড়াই করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু এই অপরাধ তাঁকে নির্বাচনী লড়াইতেও বাধা দেবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এটি দ্বিতীয়বার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগেও তিনি এই মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি যাঁর বিরুদ্ধ ফৌজদারীভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করে ট্রাম্প বলেছেন, তাঁকে মঙ্গলবার বিকেলে ফ্লোরিডার মিয়ামির একটি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি পড়া হবে। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কখনই ভাবেননি এক মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এমন আচরণ করা হবে। তিনি আরও বলেছেন এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনম্য অন্ধকারতম দিন। দেশ পতলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। ট্রাম্পের আইনজীবী জানিয়েছেন তিনি নির্ধারিত সময়ই আদালতে হাজিরা দেবেন। তাঁকে মোট সাতটি অভিযোগের সম্মুখীন হতে হবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি হলঃ গুপ্তচর আইন লঙ্ঘন করা। যার মধ্যেই রয়েছে জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য বেআইনিভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়া, তদন্তে বাধা দেওয়ার, রেকর্ড গোপন করা। অন্যান্য অভিযোগগুলি হল - ষড়যন্ত্র, এফবিআইকে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া, সাক্ষী টেম্পারিং, ট্রাস্টি । প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেন তখন তিনি সঙ্গে করে বেশ কিছু সরকার গোপন নথি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেগুলি তাঁর ফ্লোরিডার বিশাল অট্টালিকায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। তদন্তকারীরা তাঁর বাড়িতে গেলেও তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন তিনি।
মার্কিন নিয়মঃ দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমের মধ্যে ন্যাশানাল আর্কাইভসে রেকর্ড হস্তান্তরের নিয়ম মানতে ব্যার্থ হওয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরকার নথির ভুল ব্যবস্থাপনা ও দালতে অবমাননার অভিযোগ আনা হতে পারে। এই মামলায় ট্রাম্পের সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদি নিয়ে আবারও গাজোয়ারি করেন তাহলে ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বিবৃতির প্রত্যেকটি মামলায় পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আদালত অবমাননার জন্য ৬ মাসের সাজা হতে পারে।
মঙ্গলবার ট্রাম্পকে বিকেল ৩টের মধ্যে মিয়ামির আদালতে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু সেখানে যদি অভিযোগ পড়া না হয় তাহলে ট্রাম্প এ-যাত্রায় রক্ষা পাবেন। ট্রাম্প বিচারকের সামনে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত না করারও আবেদন রাখতে পারেন। পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রাক বিচার শুনানির জন্য একটি সময়সূচি দিতে পারেন। সেখানেই ট্রাম্পের হয়ে সওয়াল জবাব করতে পারেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুনঃ
রাজস্থানের রাজনীতিতে 'গুজব', শচীন পাইলটের নতুন দল নিয়ে দাবি কংগ্রেসের
পারমাণবিক বিপর্যয়ে তছনছ হবে বিশ্ব, আতঙ্কের প্রহর বাবাভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে
১১ মাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে, আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছে হাসিনা সরকার