গাজা যুদ্ধ: গত সপ্তাহে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দী চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও গাজায় হিংসা থামার নাম নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গাজা যুদ্ধ: গত সপ্তাহে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দি চুক্তি হয়েছিল। এরপর খবর আসে যে, হামাস সেইসব লোকদের প্রকাশ্যে হত্যা করা শুরু করেছে, যাদের ওপর ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার সন্দেহ করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত অনেক প্যালেস্তানীয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন যে, যদি গাজায় সাধারণ মানুষের হত্যা চলতে থাকে, তাহলে আমেরিকার কাছে বিকল্প সীমিত হয়ে যাবে এবং তাদের গাজায় ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নিশানা করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই কড়া হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন গত সপ্তাহে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দী চুক্তি কার্যকর হয়েছিল এবং ওই অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ হিংসা কমার আশা করা হচ্ছিল।
ইজরায়েলের নতুন হামলাকে সমর্থন করবে আমেরিকা
ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে, যদি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে আমেরিকা ইজরায়েলের নতুন হামলাকে সমর্থন করবে। এই মন্তব্যের ফলে গাজায় সরাসরি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের পথ খুলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে এবং এটি প্রশাসনের আগের হুঁশিয়ারির থেকেও গুরুতর। অন্যদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রবিবার এনবিসি-র 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, আমেরিকা গাজায় স্থল সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে না। তিনি আরও জানান যে, ২০০ জন মার্কিন সেনা শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী পর্যবেক্ষণের জন্য ইজরায়েলে মোতায়েন করা হবে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট বলেছেন যে, ইজরায়েল কোনো চুক্তি থেকে পিছু হটবে না এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, হামাস যেন পণবন্দীদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত চুক্তির নিয়ম মেনে চলে। এর প্রতিক্রিয়ায় হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী পালন করেছে এবং তাদের কাছে থাকা সমস্ত পণবন্দীর দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।

