Pakistan Army Chief Asim Munir: হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত যা যুদ্ধের আকার নিচ্ছিল, তা বন্ধ করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির। আ
টার্গেট একটাই- নোবেল শান্তি পুরস্কার। বারাক ওবামাকে টক্কর দেওয়া। আর তারজন্য দ্বিতীয়বার মার্কিন রাষ্ট্রপতি হয়ে প্রথম থেকেই উঠেপড়ে লেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পা। সেক্ষেত্রে তাঁর তুরুপের তাস পাকিস্তান। বুধবার হোয়ইট হাউসে ভোজ খেতেই ট্রাম্পের গুণগান গাইতে শুরু করেছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শল আসিম মুনির। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি জানিয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পেকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত যা যুদ্ধের আকার নিচ্ছিল, তা বন্ধ করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির। আর তার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হিসেবেই আসিম মুনির ট্রাম্পকে নোবেল প্রাইজের মনোনয়ন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছেন, মার্শাল মুনির জানিয়েছেন, ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।
অন্যদিকে পিছিয়ে নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগের মতই নিজের গুণগান গেয়েছেন। বলেছেন, 'আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানান জন্য এখানে ডেকে এনেছিল। তিনি যুদ্ধের পথে না গিয়ে তা থামিয়েছেন। ' হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি আরও বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ ট্রাম্পই আটকে দিয়েছেন। এদিয়ে ট্রাম্পও সম্ভাব্য যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য মুনিরের স্তুতি গাইলেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি পাকিস্তানকে ভালবাসেন। তবে মোদীরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্দান্ত মানু। তিনি আরও জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্ত হবে।
পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছেন। আমেরিকার সেন দিবস উপলক্ষ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। হোয়াইট হাউসে ওবামার সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল নওয়াশ শরিফের। পারভেজ মুশারফ গিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুসের সঙ্গে বৈঠক করতে। ইমরান খানও বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম সেনা প্রধান হিসেবে মুনির কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আমেরিকায়।


